নালিতাবাড়ী

সঠিক জায়গার ব্যবহার

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ৬ মার্চ ২০২২ , ২:২৪ এএম অনলাইন সংস্করণ

সঠিক জায়গার ব্যবহার

সঠিক জায়গার ব্যবহার।    

শাহাদত তালুকদার স্টাফ রিপোর্টারঃ       
বাঙালির সেই আন্দোলন-সংগ্রাম আর পাকিস্তানি দুঃশাসনের পীড়ন নীতির কারণেই বাঙালির সৌর্য-বীর্য আর সংগ্রামের ইতিহাসে যুক্ত হয় ১৯৫২, যুক্ত হয় ২১ ফেব্রুয়ারি। বাঙালির শহীদ দিবস এবং বিশ্বের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে যে সৌধ নির্মিত হয়েছে, যে সৌধে প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি তারিখে তো বটেই, বিভিন্ন উপলক্ষে বাঙালি মিলিত হয়, সংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের আশ্রয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক সমাবেশ হিসেবেও ব্যবহৃত হয় শহীদ মিনার। 
শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে নিবেদনের আলোড়ন- শ্রদ্ধা প্রদর্শনের ঘনঘটা, সেই শহীদ মিনারই সারা বছর হয়ে থাকছে অবহেলায়, ইট-সিমেন্টের পরিত্যক্ত অঞ্চল, প্রাকৃতিক ক্রিয়াদি সারার প্রকৃষ্ট আড়াল! দু’চারটি ব্যতিক্রম বাদ দিলে বাস্তব চিত্র এমনই সিংহ ভাগ শহীদ মিনার।  
সত্যি যদি আমরা দেশমাতৃকার কল্যাণ চাই, তাহলে কেবল বক্তৃতা-বিবৃতিতে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কথা না আউড়ে বাস্তব উদ্যোগ গ্রহণ করা আবশ্যক, অন্যথায় অদূর ভবিষ্যতে এমন এক সময় আসবে যখন বাংলা দেশের মাটিতে যা দিবস উৎসব নাম 
 হয়ে উঠবে।থাকবে না মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান, থাকবে না দিবসের সঠিক সম্মান।  
বিজ্ঞানমনস্কতা, প্রাগ্রসর চিন্তা, বুদ্ধির মুক্তি ইত্যাদি শব্দ উচ্চারণ দণ্ডণীয় হয়ে যাবে; আমাদের স্বাধীন দেশে মানুষের সামাজিক-রাজনৈতিক এবং মননের মুক্তি হয়ে উঠবে সুদূরপরাহত। বাঙালির এত দিনের লড়াই-সংগ্রাম হবে অর্থহীন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম! জয় বাংলা!’ অমোঘ উচ্চারণ হবে ভূলুণ্ঠিত।
আমাদের এসব বিষয়ে এখনি সচেতন হতে হবে। শহিদ মিনারের মতো পবিত্র, সম্মানের যাইগা গুলো কে যত্নে রাখি। ভুল গুলো সমাধান করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সম্মান করে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সঠিক মুল্যায়ন এবং যথাযথ মর্যাদার মাধ্যমে দেশ এবং নব প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।