নালিতাবাড়ী

অটো রিকশা চালকের অদক্ষতার কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারী।

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ৮ মার্চ ২০২২ , ৫:৫৮ পিএম অনলাইন সংস্করণ

অটো রিকশা চালকের অদক্ষতার কারণে  প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারী।

অটো রিকশা চালকের অদক্ষতার কারণে কখনো চালক কখনোবা পথচারী শিকার হন দুর্ঘটনার।

শহরের বাজারে প্রতিনিয়ত বেপরোয়া চলাচলে দূর্ঘটনা, তীব্র যানজট সৃষ্টিরও অন্যতম কারণ ব্যাটারিচালিত রিকশা। যার ভোগান্তিতে নাকাল সাধারণ মানুষ। তাছাড়া এসব যানে ব্যবহৃত হচ্ছে অবৈধ বিদ্যুৎ। এভাবে কয়েক লক্ষ্য ব্যাটারি চার্জ দেয়া হচ্ছে গ্যারেজে। এতে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। আর লাভবান হচ্ছে অসাধু অটো-রিকশা মালিকরা। 
স্থানীয়রা জানান শহরের প্রধান প্রধান সড়ক সহ অলিতে গলিতে বেপরোয়া গতিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা। ফলে নিয়ন্ত্রণহীন এই বাহনে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।প্রতিনিয়ত লক্ষ করা যাচ্ছে পথচারী, স্কুল শিক্ষার্থীরা এই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। 
  
 শুধু তাই নয়, আইনের তোয়াক্কা না করে দিন দিন ভয়ঙ্কর আকারে বাড়েই চলছে দুই চাকার এই বাহনটি। এতে পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকেই নিরুপায় হয়ে ওই বাহনে মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাচ্ছেন।বেশির ভাগ দেখা যায় পথচারীদের উপরে তুলে দেওয়া হচ্ছে বা এক গাড়ি অন্য গাড়ি সংঘর্ষ। স্কুলে যাচ্ছেন শত শত শিক্ষার্থী আর প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। 
 এই বাহনটি যে ভাবে বেরে চলছে, নেই কোনো চালকদের প্রশিক্ষণ, এবং ছোট বাচ্চা বা একজন বৃদ্ধ বয়স্ক চালকের ড্রাইভিং, এখনও যদি এর নিয়ন্ত্রণ না করা হয় বড় ধরনের ভুগান্তি এবং দুর্ঘটনা শিকার হবেন পথচারীরা।          
যাত্রীদের অভিযোগ, অনেক চালকের নেই কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা। অদক্ষ চালক অনেক সময় রিকশা নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। অধিকাংশ অটোরিকশা চলাচ্ছে শিশু-কিশোর এবং অন্য পেশা থেকে আসা শ্রমিকরা। এসব চালকদের বেপরোয়া ও বিশৃঙ্খলা অটোরিকশা চালনার কারণে প্রতিনিয়তই ঘটেছে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার পাশাপাশি প্রতিটি সড়কেও সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এতে শহরবাসী রয়েছে চরম ভোগান্তিতে।
আবার বেকারত্ব চিন্তা করে কিছু স্থানীয় বিশ্লেষকদের মতামত জানতে চাইলে তারা পরামর্শ দিয়ে থাকেন এই বাহনটির জন্য অনেক বেকারত্ব সমাধান হয়েছে, তাই এদের জন্য একটা সঠিক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা করে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। আবার সরকার যেহেতু নিষিদ্ধ করেছেন তাহলে বিকল্প পেশার ব্যবস্থার মাধ্যমে এই সমাধান করা উচিত।      
২০১৭ সালে হাইকোর্ট ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সরকারের এই নির্দেশনা তোয়াক্কা না করে আরও বেপরোয়া গতিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ওই বাহনটি।