নালিতাবাড়ী

জমি নিয়ে দ্বন্দে ছেলের বিরুদ্ধে বাবার মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ।

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ১২ অক্টোবর ২০২২ , ১১:১৫ এএম অনলাইন সংস্করণ

জমি নিয়ে দ্বন্দে ছেলের বিরুদ্ধে বাবার মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ।



জমি নিয়ে দ্বন্দে ছেলের বিরুদ্ধে বাবার মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ। 
 
শেরপুর এর নালিতাবাড়ীতে।
জমি নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দের জেরে ছেলের বিরুদ্ধে আবার মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে। জমি নিয়ে দ্বন্দ ও বাবার দায়ের করা মিথ্যা মামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে মঙ্গলবার সকালে লিখিত এই অভিযোগ করেন ছেলে আফরোজ আলী।
এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বেকি কুড়া গ্রামের এলাকার বাসিন্দা আতর আলী (৬৫) এক ছেলে ও এক মেয়ের দায়িত্ব নিয়ে বিধবা এক নারীকে বিয়ে করেন। পরে তাঁদের ঘরে ৪ মেয়ে ও ২ ছেলে সন্তান হয়। ২০০৯ সালে ওই নারীর মৃত্যুর ৩ মাস পর আতর আলী দ্বিতীয় বিয়ে করেন। 
সে সময় আতর আলী তাঁর জমি ৬ সন্তানের মাঝে ভাগ করে দেন। পরে ২০১২ ষালে বাড়ি ভিটার ১২ শতাংশ জমি ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে দুই ছেলে আনসার আলী ও আফরোজ আলীর কাছে গ্রাম্য সাব কবলা দলিলে বিক্রি করেন। এছাড়াও আবাদি ৩৫ শতাংশ জমি তার নিজ নামে রেখে দেন। এরপর থেকেই সন্তানেরা নিজেদের অংশে থাকা সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছিলো। তার কিছুদিন পরই আতর আলী ২৫ শতাংশ জমি দ্বিতীয় স্ত্রীর নামে লিখে দেন এবং অবশিষ্ট ১০ শতাংশ জমি অন্যত্র বিক্রি করে দেন।এরপর থেকে আতর আলী তাঁর দুই ছেলে আনসার ও আফরোজের কাছেই থাকতেন।
এদিকে দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এর কিছুদিন পর হুট করেই দুই ছেলের নামে লিখে দেওয়া সম্পত্তি আতর আলী লিখে দেননি বলে দাবি করেন। এছাড়াও জোর করে সম্পত্তি লিখে নেওয়ার অভিযোগ এনে দুই সন্তানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে দুই ছেলের কাছে জমি ক্রয়ের তথ্য প্রমাণ থালায় মামলাটি শেষ হয়ে যায়।
চলতি মাসে বসত ভিটার ১২ শতাংশ জমি ছেলেদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করেন আতর আলী। নানা কৌশলে ব্যার্থ হয়ে তাঁর প্রথম স্ত্রীর আগের ঘরের ছেলে মোশারফকে সাথে নিয়ে ছেলেরা ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ এনে আবারোও থানায় মামলা দায়ের করেন। 
এ বিষয়ে অভিযোগকারী আফরোজ আলী বলেন, আমার বাবা তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী ও তাঁর সাবেক স্ত্রীর প্রথম ঘরের ছেলে মোশারফের কুপরামর্শে আমাদেরকে বাসা থেকে বের করে দিতেই নানা মিথ্যা অভিযোগ ও মামলা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি এখনও আমাদের ঘরেই থাকছেন ও খাওয়া দাওয়া করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আতর আলী বলেন, আমি কাউকে সম্পত্তি লিখে দেইনি। ওরা অন্যায় ভাবে ভোগ দখল করে যাচ্ছে। আমায় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়নি। তবে কথা কাটাকাটি হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী উপ- পরিদর্শক (এএসআই)আমিনুল ইসলাম বলেন,যেহেতু বাবা ছেলের মধ্যকার ঘটনা। তাই সামাজিকভাবে বসে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হবে।