নালিতাবাড়ী

প্রেসক্লাব নালিতাবাড়ী উদ্যোগে দোয়া বিশিষ্ট সাংবাদিক বজলুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে।

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ , ১০:১১ পিএম অনলাইন সংস্করণ

প্রেসক্লাব নালিতাবাড়ী উদ্যোগে দোয়া বিশিষ্ট সাংবাদিক বজলুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে।



প্রেসক্লাব নালিতাবাড়ী উদ্যোগে দোয়া বিশিষ্ট সাংবাদিক বজলুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে। 
তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শোক প্রকাশ ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নালিতাবাড়ী প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির ।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ সালে শেরপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী নকলা উপজেলার ৫ নং বানেশ্বরর্দী ইউনিয়ন পরিষদের নিকটবর্তী নিজ গ্রামে, মহান মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক, প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, পুরস্কার প্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক, সাহিত্যিক “”দৈনিক সংবাদ”” এর সম্পাদক বজলুর রহমান মৃত্যু বরণ করেন। 
আজ১৫ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রেসক্লাব নালিতাবাড়ী দোয়া আয়োজন করেন ।
দোয়ায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক আলহাজ্ব এম এ হাকাম হীরা।সভাপতিত্ব করেন সহ সভাপতি  মাফুজুর রহমান সোহাগ।
উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাব নালিতাবাড়ীর সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক   
আব্দুল মোমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু জাফর প্রমুখ।      
বজলুর রহমান তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার চরনিয়ামত গ্রামে ১৯৪১ সালের ৩ আগষ্ট জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মৌলভী আব্দুর রহমান। তিনি,স্থানীয় এক প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণি পাশ করে নকলা উপজেলার গণপদ্দি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্টিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উর্ত্তীণ হন। পরবর্তীতে ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও বরিশালের বজ্রমহন কলেজে পড়াশোনা করেন। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
তাছারা, প্রথিতযশা সাংবাদিক বজলুর রহমান তাঁর লেখায় “”সংবাদ পত্রিকার”” মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে সোচ্চার ছিলেন। তিনি ছিলেন সংবাদের এক সাহসী কলম সৈনিক। বজলুর রহমান মুক্তিযোদ্ধের পক্ষে লেখালেখি করে পরামর্শ মূলক লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। নরসিন্দি জেলার ব্যারিস্টার আহমেদ-উল কবিরের সংবাদে দীর্ঘদিন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন। ৯৬ এর পরে নিজে সম্পাদক নির্বাচিত হন।
রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখার মধ্যদিয়ে বজলুর রহমান ২০০৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাতটার সময় পুরান ঢাকার ওয়ারলেস গেইটে সাবেক সফল কৃষিমন্ত্রী বাংলার অগ্নিকন্যা খ্যাত বেগম মতিয়া চৌধুরীর সরকারি বাসভবনে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজধানী ঢাকার কার্ডিয়াক হাসপাতালে বিশেষ কেবিনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ ফেব্রুয়ারী শেষ নিঃস্বাশ ত্যাগ করেন।