নালিতাবাড়ী

নালিতাবাড়ী মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজে ধীরগতি,জনমনে অসন্তোষ।

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ৫ মার্চ ২০২২ , ৮:৩০ এএম অনলাইন সংস্করণ

নালিতাবাড়ী মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজে ধীরগতি,জনমনে অসন্তোষ।



নালিতাবাড়ী মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজে ধীরগতি,জনমনে অসন্তোষ।
শাহাদত তালুকদার স্টাফ রিপোর্টার: শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলায়- নালিতাবাড়ী উপজেলা মডেল মসজিদ নামে একটি মসজিদ নির্মাণ হচ্ছে দীর্ঘ সময় ধরে বাগবের ইউনিয়নের রানীগাও গ্রামে ।
২০১৭ সালে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন এই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করছে।
প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন হচ্ছে।  
কাজ চলমান অবস্থায় সময়সীমা দুই ধাপে দ্বিতীয় বারের মতো এই প্রকল্পের সময়সীমা এবং বাজেট বাড়ানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ প্রকল্পের সংশোধনীর অনুমোদন দেওয়া হয়েছিলো।  
প্রকল্প হাতে নেওয়ার সময় এর অনুমিত খরচ ছিল ৯ হাজার ৬২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এর ৯০ শতাংশ অনুদান হিসেবে সৌদি আরব থেকে আসার কথা ছিল।
তবে ১ বছরেরও বেশি সময় অপেক্ষা করার পরেও বৈদেশিক সহায়তা পাওয়ার বিষয়টি বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে নিজস্ব তহবিলের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে বাধ্য হয় সরকার।
২০১৮ সালের ২৬ জুন প্রকল্পের খরচ ৩৪০ কোটি টাকা কমিয়ে ৮ হাজার ৭২২ কোটি করা হয় এবং বাস্তবায়নের সময়সীমা ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
১ম সংশোধিত প্রকল্পের আওতায় শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলায় এই ৩ তলা ভিত বিশিষ্ট ৩-তলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে ।
এই মডেল মসজিদটি নির্মাণ কাজ শুরু করে ২১-০৪-২০১৯ সালে আর দেওয়া আছে ২০১৮ – ২০১৯ সাল অর্থাৎ ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের মাঝে কাজটি সম্পূর্ণ করার কথা কিন্তু কাজটি এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। যে মেয়াদ ছিল সেই মেয়াদ উর্তীর্ণ হয়ে ২ বছর চলে গেছে এবং ২০২২ সাল চলছে তবুও কাজ এখনো হচ্ছে না। 
এই বিষয়ে উক্ত এলাকাবাসী বলেন সরকারের দুইবারের মেয়াদেও কেন হচ্ছে না মসজিদটি নির্মাণ কাজ। এবিষয়ে প্রশাসন বা স্থানীয় সাংসদ এর প্রতিনিধিরা কেনো নিরবতা।    
এই বিষয়ে উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আব্দুস সবুর বলেন আমাদের স্থানীয় সাংসদ সাবেক কৃষি মন্ত্রী অগ্নি কন্যা বেগম মতিয়া চৌধুরী আপার মাধ্যমে আমরা এই মসজিদটি পেয়ে আমার ইউনিয়ন সহ উপজেলাবাসি আনন্দিত। কিন্ত কাজটি নানা কারনে পিছিয়ে গেছে।                               
এই বিষয়ে ঠিকাদার ইয়াকুব আলী স্বাধীন বাংলা নিউজ ২৪ ডটকম কে জানান কাজ করছি কিন্ত সৌদি সরকার টাকা দেওয়ার কথা থাকলেই তারা মাঝপথে টাকা দেওয়া অফ করে দেই, তার জন্য নানা সময়ে নানান জটিলতার কারণে কাজটি চলমান রাখতে পারি নাই।এখন বাংলাদেশ সরকার টাকা দিচ্ছে কাজ চলমান রয়েছে অল্প কয়েক মাসের মধ্যে হ্যান্ডওভার করা হবে ।     
       
এজেন্সির নাম: আইসিএল-এমএকে(জেভি)। তার বাড়ি নং -১৬ (৩য় তলা), রোড নং-০১ মোহাম্মদী হাউজিং সোসাইটি, মোহাম্মদপুর,ঢাকা।
গ্রহীত দরপত্র মূল্য হলো ১১,৮৯,০৮,২৩১/৫৯৫ টাকা।