নালিতাবাড়ী

তীব্র শীতে বিপর্যস্ত নকলা-নালিতাবাড়ীর জনজীবন।

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ৭ জানুয়ারী ২০২৩ , ৭:০৬ পিএম অনলাইন সংস্করণ

তীব্র শীতে বিপর্যস্ত নকলা-নালিতাবাড়ীর জনজীবন।



তীব্র শীতে বিপর্যস্ত নকলা-নালিতাবাড়ীর জনজীবন।

শেরপুরে গত কয়েকদিন ধরে অধিকাংশ সময়ই সূর্যের দেখা নেই। মৌসুমের শুরুতে শীতের তেমন প্রকোপ না থাকলেও পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঘনকুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জনজীবন।

খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছেন না। ঠান্ডা নিবারণের গরম কাপড় না থাকায় অসহায় ও দুস্থরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। তবে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষগুলো।

শেরপুরের বেশিরভাগ উপজেলার এলাকাজুড়ে ঘনকুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ঘনকুয়াশায় সড়ক পথে যানবাহন চলাচলে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। জেলার শিশু ও বয়স্কদের তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 

নকলা- নালিতাবাড়ীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও কোনো দোকানে তেমন ক্রেতার দেখা মিলছে না,এতে ব্যবসায়ীরা হতাশ।

এদিকে কয়েকদিন ধরে তীব্র শীতের কারণে মাঠ-ঘাটে ও ফসলের খেতে তেমন একটা দেখা মেলেনি দিনমজুরদের। তাছাড়া জেলার বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে রিকশাভ্যান ও ইজিবাইকের সংখ্যাও কমে গেছে। শীতের কারণে উপজেলায় শিশুদের বাড়ছে রোগ।

পৌর বাজারে দোকানি সিরাজ হোসেন বলেন, ‘যেভাবে শীত পড়েছে তাতে আমার বেচাকেনা একেবারেই কমে গেছে। প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার ৫ শত থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। সেখানে গত দুই দিনে ২ হাজার টাকারও বিক্রি করতে পারিনি।’

পোড়াগাও ইউনিয়নের কৃষক রাজ্জাক বলেন, ‘এমন শীত পড়ছে, ঘরেই থাকা কষ্টকর। তাই কয়েকদিন ধরে মাঠে যেতে পারছিনা। আমাদের মতো বয়স্কদের কাছে শীত বেশি মনে হয়। হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসে।’

 উপজেলার ওষুধের দোকানি মেহদী হাসান সেলিম বলেন, ‘বিকেল হলেই দোকানে শিশুদের সর্দি-কাশির ওষুধ নিতে ভিড় পড়ে যায়। গলা ব্যাথা, ডায়রিয়া, আমাশয় জাতীয় পেটের অসুখ ও বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ শীত মৌসুমের সাধারণ রোগ। এছাড়াও শীতে কিছু অসুখে ভোগান্তির পরিমাণ বেড়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে।

এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, শীত মৌসুমে নালিতাবাড়ীতে বেশ শীত পড়েছে। তীব্র শীত মোকাবেলায় আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্তদের মাঝে সরকারী বরাদ্দের কম্বল বিতরণ করে যাচ্ছি।
নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবীর বলেন, আগামী এক সপ্তাহ যদি এভাবে শীত পড়তে থাকে তাহলে বোরো বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে পড়তে পারে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি, সেই অনুযায়ী এলাকার কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।