নালিতাবাড়ী

নালিতাবাড়ীতে শাশুড়ি জামাতা বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন।

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ২৭ জানুয়ারী ২০২৩ , ৬:৩৫ পিএম অনলাইন সংস্করণ

নালিতাবাড়ীতে শাশুড়ি জামাতা বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন।



নালিতাবাড়ীতে শাশুড়ি জামাতা বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন।
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে গারো আদিবাসী পরিবারের মেয়ের জামাতা গলিয়াত রেমার অত্যাচার থেকে বাঁচতে তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার শ্বাশুড়ী সনন্দা মানকিন। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার ভারত সীমান্তঘেঁষা রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের পানিহাটা-তাড়ানী গ্রামের নিজ বাড়ির আঙ্গিণায় ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে পরিবার প্রধান শ্বাশুড়ী প্রয়াত মলয় রেমার স্ত্রী সনন্দা মানকিন সংবাদিকদের জানান, তার ঔরসজাত ৬ ছেলে ও ৭ কন্যা সন্তানসহ দীর্ঘদিন যাবত উপজেলার তাড়ানী গ্রামে বসবাস করে আসছেন। একই গ্রামের গলিয়াত রেমার কাছে তার বড় মেয়ে রুমা মানকিনকে বিয়ে দেন। গারোদের মাতৃতান্ত্রিক পরিবার হওয়ায় মা-বাবার সম্পদের ওয়ারিশদার হন কন্যারা। তাই বড় মেয়ে রুমার ইন্দনে তার স্বামী গলিয়াত ওই পরবারে একক আধিপত্য বিস্তার ও সম্পত্তি ভোগদখল করতে চান। পরিবারের জমিজমাসহ সকল অর্থবিত্ত গলিয়াতের একক নিয়ন্ত্রেণে নিতে চাইলে শ্বাশুড়ী, শ্যালক ও শ্যালিকাদের সাথে দ্বন্দ্ব বাঁধে।
এনিয়ে মাঝে মধ্যেই গলিয়াত তার শ্বাশুড়ী, শ্যালক ও শ্যালিকাদের সাথে হামলা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনায় শ্যালিকা রিনা মানকিন, বিচিত্রা মানকিন ও মনীষা মানকিন গুরুতর আহত হন। বর্তমানে আহত রিনা মানকিন নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রায় এক যুগ ধরে জামাতা গলিয়াত রেমা নানা অপকর্ম করে আসলেও এর সমাধান পাচ্ছেন না তারা।
সনন্দা আরো বলেন, জামাতা গলিয়াত খুব খারাপ প্রকৃতির লোক। বড় মেয়ের জামাতা হওয়া সত্তেও তিনি পরিবারের দেখভাল না করে জমিজমা ও অর্থবিত্ত আত্মসাতের পায়তারা করছেন। গলিয়াত সম্পত্তির লোভে তিনি শ্বাশুড়ী, শ্যালক ও শ্যালিকাদের একাধিকবার উপর হামলা প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় পরিবারের অশান্তি নেমে এসেছে। তাই গলিয়াতের অত্যাচার থেকে বাঁচতে ও পরিবারে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সনন্দার ছেলেমেয়েসহ জামাতারা উপস্থিত ছিলেন। এসময় তারা গলিয়াতের অত্যাচারে আবেগাল্পুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তারা গলিয়াতের আধিপত্য ও অত্যাচার থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।