নালিতাবাড়ী

পৌরশহরে খাল খনন চলমান।

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ , ৭:২৩ পিএম অনলাইন সংস্করণ

পৌরশহরে খাল খনন চলমান।



পৌরশহরে খাল খনন চলমান।
 
বর্ষায় শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌরশহরের গড়কান্দা এলাকায় দুই কিলোমিটার খাল খননের কাজ চলছে। নালিতাবাড়ী পৌরসভার মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিকের উদ্যোগে পৌরসভার অর্থায়নে এই খনন করা হচ্ছে। খালটি খনন কাজ শেষ হলে বর্ষা মৌসুমে শহরের একাংশে পানি এই খাল দিয়ে নিষ্কাশন হবে ধারণা করা হচ্ছে। এতে এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
পৌরসভা কার্যালয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পৌরশহরের তারাগঞ্জ উত্তর বাজার,মধ্যবাজার,কাচারীপাড়া, সাহাপাড়া ও গড়কান্দা এলাকার একাংশের পানি গড়কান্দা টেম্পুস্টেশন হয়ে শহরের অদূরে দুদুয়ার খালে নেমে যেতো। কিন্ত দীর্ঘ দিন ধরে খাল খনন না হওয়ায় বাড়ি ঘর নির্মাণ করায় গড়কান্দা টেম্পুস্টেশন থেকে দুদুয়ারখাল পর্যন্ত খালটি দিন দিন সরু হয়ে পড়ে। এর ফলে প্রতিবছর বর্ষায় শহরের তারাগঞ্জ উত্তর বাজার,মধ্যবাজার,কাচারীপাড়া,সাহাপাড়া ও গড়কান্দা এলাকার একাংশে জলাবদ্ধাতা সৃষ্টি হয়। এতে সাহাপাড়া এলাকায় চলাচলের রাস্তায় জলাবদ্ধাতা সৃষ্টি হয়। এসময় মানুষের চলাচলে চরম দূভোগ পোহাতে হয়। মানুষের দূর্ভোগের কথা ভেবে মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক খালটি খননের সিদ্ধান্ত নেন। এসময় সরেজমিনে গিয়ে খালের দাগ নকশা দেখে খাল খণনের নির্দেশ দেন। গত শনিবার থেকে বেকু দিয়ে গড়কান্দা এলাকায় দুই কিলোমিটার খাল খনন করা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত চার দিনে খালের ৫০ শতাংশ খনন করা হয়েছে। আরো এক সপ্তাহ সময়ের মধ্যে বাকি কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। শহরের একাংশে পানি নিষ্কাশনে উদ্যোগ নেওয়ায় মেয়রের প্রতি ভ’ক্তভোগী এলাকাবাসী সন্তুষ্ঠি প্রকাশ করেছেন।
এ ব্যাপারে সাহাপাড়া এলাকার গৃহিনী মালতি রানী সাহা বলেন,বর্ষায় বাড়ি ঘরে পানি নামতে দেরি হওয়ায় জলাবদ্ধা সৃষ্টি হতো। রাস্তায় পানি থাকায় চালাচলেও অসুবিধা হতো। মেয়র আমগর দুঃখ বুঝবার পাইয়া খাল খননের উদ্যোগ নিছে। অহন আর বর্ষায় আমগর কষ্ট করুন লাগবো না।
পৌরসভার ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মালা রানি সাহা বলেন, উত্তর বাজার থেকে পাকা করে যে নালা করা হয়েছে। তার বাকি অংশ ফান্ডের অভাবে আর করা সম্ভব হয় নাই। এছড়া শহরের একাংশে পানি এই খাল দিয়ে দুদুয়ার খালে নেমে যেতো। কিন্ত দীর্ঘ দিন ধরে যার যার মত দখল করায় খালটি সরু হয়ে গিয়েছিল। শহরের পানি ঠিকমত বের হতো না। কিন্ত মেয়রের উদ্যোগ খালটি দখল মুক্ত করে খনন করা হচ্ছে। এতে বর্ষায় পানি নেমে যেতো আর কোন সমস্যা হবে না। মানুষকেও কষ্টও করতে হবে না।
এ ব্যাপারে মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন,দখলের কারণে খালটি দিন দিন সরু হয়ে যাচ্ছিল। এতে শহরের একাংশে পানি নেমে যেতে বাধাগ্রস্ত হতো। গড়কান্দা এলাকায় সহাপাড়া সহ দুই কিলোমিটার খাল খননের কাজ চলছে। আশা করছি শহরের পানি নেমে যেতে কোন সমস্যা হবে না। বর্ষায় জলাবদ্ধতার দরুণ এলাকাবাসীকে আর কষ্ট করতে হবে না। দখল মুক্ত রাখতে খনণের পর খালের পাড়ে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।