নালিতাবাড়ী

নালিতাবাড়ীতে দাখিল মাদরাসা সুপার ইব্রাহীমকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও এলকাবাসী।

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ২৩ মার্চ ২০২২ , ১১:১৭ পিএম অনলাইন সংস্করণ

নালিতাবাড়ীতে দাখিল মাদরাসা সুপার ইব্রাহীমকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও এলকাবাসী।



নালিতাবাড়ীতে দাখিল মাদরাসা সুপার ইব্রাহীমকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও এলকাবাসী।
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মরিচপুরান দাখিল মাদরাসা সুপার মাওলানা ইব্রাহীমকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও এলকাবাসী। বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে মাদরাসার সন্মুখে এ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মাদরাসা ও মানববন্ধনে বক্তাগণ বলেন,১৯৭১ সালে উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯০ সালে মাওলানা ইব্রাহীমকে সুপারের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে নানা অনিয়ম নিয়মে পরিনিত হয়েছে। তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বছর বছর কমতে থাকে। বর্তমানে মাত্র ১৫৩ জন শিক্ষার্থী ও নয়জন শিক্ষক নিয়ে কোন রকমে মাদরাসাটি চলছে। সুপার ইব্রাহীম ২০১০ সালের অক্টোবরের ১০ তারিখ থেকে ২০১১ সালের জুলাইয়ের ১৮ তারিখ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থেকে হাজিরা খাতায় ঘষামাজা করে অর্জিত ছুটি লেখা রয়েছে। এরপর চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারী থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত রয়েছে। এ ছাড়াও সরকারী বিভিন্ন অনুদান মাদরাসার উন্নয়নে ব্যাবহার না করে নিজের পকেটস্থ করায় মাদরাসার শিক্ষার্থী ,এলাকাবাসী ও অভিবাবকগণ তার অপসারনের দাবীতে মানববন্ধন করে বিক্ষোভ করেন। ফেব্রুয়ারী ২০২০ সালে ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হলে পরবর্তীতে ইউএনও কে সভাপতি করে চার সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি করা হয়। যা চলতি মাসের ২৬ তারিখে এর মেয়াদ শেষ হবে। সম্প্রতি এই মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটি গঠন করার লক্ষ্যে ইউএনও থেকে প্রিজাইডিং অফিসার হিসাবে নিয়োগ দেন একাডেমিক সুপারভাইজার শাহজামালকে। একাডেমিক কর্মকর্তা সুপারের মনমত কমিটি ঘোষণা না করায় সুপার ইব্রাহীম একই স্বারকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে উপজেলা সমবায় অফিসার প্রণভ চন্দ্র ভট্রাচার্য্যকে দায়িত্ব দেয়। পরে সুপার তফসিল, খসড়া ভোটার, চুড়ান্ত ভোটার তালিকা নিয়ম অনুযায়ী প্রকাশ না করে সুপারের মনগড়া মত করে বোর্ডে প্রেরন করে। এই কার্যক্রমে প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবসহ এলাকার কোন জনগন অবগত নয়। নিজের ইচ্ছামত মনগড়া একের পর এক কাজ করে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকগণ।
মাদরাসার সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল বলেন, সুপার বরাবরই উপজেলা প্রশাসনকে মিথ্যা মনগড়া তথ্য দিয়ে মাদরাসার শৃংখলা বিনষ্ঠ করে আসছেন। ফলে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা এবং মিথ্যাবাদি সুপারের অপসারণের দাবি জানান তিনি।
মাদরাসার এডহক কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভিন বলেন, কাগজপত্র দেখে মনে হচ্ছে আমার স্বাক্ষরটা জাল করা হয়েছে। তবে আমি রেজিষ্টার দেখে গড়মিল পেলে ওই সুপারের বিরোদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।