নালিতাবাড়ী

তরমুজের দামে হতাশ ক্রেতারা,লাভবান বিক্রিতেরা।

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ৯ এপ্রিল ২০২২ , ৫:২৭ পিএম অনলাইন সংস্করণ

তরমুজের দামে হতাশ ক্রেতারা,লাভবান বিক্রিতেরা।

তরমুজের দামে হতাশ ক্রেতারা, লাভবান বিক্রিতেরা।    

দিনমজুর ইউসুফ আলী ইফতারে পরিবারের সদস্যদের তরমুজ খাওয়াবেন, এই চিন্তা করে দোকানে এসেছেন। তবে তরমুজের দাম শুনে দমে গেলেন তিনি।
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে যে কোনো আকারের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। তাও আবার কেজি প্রতি ৪০-৬০ টাকা।যদিও চাপ দিলে পিস আকারে বিক্রি করতে চাই কিন্তু দাম হিসাব করলে কেজি আকারে একই দাম চলে আসে।      
নালিতাবাড়ী পৌর শহরের বেশকিছু দোকান ঘুরে দেখা গেছে সবখানেই একইরকম দাম। 
শেষে বাধ্য হয়ে একদিনের আয়ের অর্ধেকটা দিয়ে কিনলেন একটি তরমুজ, দাম পড়েছে ২২০ টাকা।
সাধ্যের সবটুকু দিয়ে সন্তানদের জন্য মৌসুমি ফলটি কিনে রওয়ানা দিলেন বাড়ির উদ্দেশে। আলাপকাল দিনমজুর ইউসুফ আলী বলেন, একটা তরমুজ কিনতে একঘণ্টা সময় খরচ করলাম। পাইকারি বাজার, খুচরা বাজার সবজায়গায় ঘুরছি। এত তরমুজ তারপরও একটা তরমুজ কম দামে জুটলো না!
তিনি বলেন, রোজার আগে যে দাম ছিল এহনও হেই দাম। 
তৌহিদুল ইসলাম নামে এক চাকরিজীবী ক্রেতা বলেন, পাইকারি বাজার বা  সরাসরি কৃষকরা    পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে, সেখান থেকে খুচরা বাজারে কেজি হিসেবে বিক্রি করছে। ৫০ টাকা দরে যদি ৫ কেজির একটা তরমুজ কিনি, তাহলে খোসার দাম বাদ দিলে তরমুজের কেজি পরে ৭০-৭৫ টাকার মতো। ৫ কেজির তরমুজে অন্তত এক দেড় কেজি খোসা আছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা খোসার দাম ছাড়াই তরমুজ কিনছেন কিন্তু আমরা ক্রেতারা কিনছি খোসার দামসহ। 
দাম নিয়ে বিক্রেতারা বলেন আমাদের অঞ্চলে চাষ হয় না তেমন তরমুজ, তাই আমাদের বাহির থেকে আনতে হয়। তাতে অনেক খরচ হয়ে যায়। সব দিক মেনেছ করে আমাদেরও ত ব্যবসা করতে হয়।         
এ নিয়ে নালিতাবাড়ীর জনসাধারণের নানা অভিযোগ রয়েছে প্রশাসন কেনো এসবের উপর নজর দিচ্ছে না।