নালিতাবাড়ী

নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ২ বছর যাবত যাতায়াত বন্ধ

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ২৮ মে ২০২২ , ১:১৭ পিএম অনলাইন সংস্করণ

নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ২ বছর যাবত যাতায়াত বন্ধ



নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ২ বছর যাবত যাতায়াত বন্ধ।
মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় দুই বছর ধরে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এই বন্দর দিয়ে পাথর আমদানি কার্যক্রম চালু করা হলেও সাধারণ মানুষ যাতায়াত করতে পারছেন না। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।
সূত্রে জানা গেছে, দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দরটি গত ২০২০ সালের ১৮ মার্চ যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি আবার পাথর ও সীমিত আকারে কয়লা আমদানি করা শুরু করা হয়। তবে যাতায়াতের অনুমতি না থাকায় ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। হাঁটা পথ পেড়িয়ে যেখানে ভারতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মুখোমুখি বসে আমদানি পণ্যের গুণগতমান, দরদামসহ সকল বিষয়ে আলোচনা করতে পারতেন তারা। সেখানে কয়েক হাজার কিলোমিটার পথ আর অতিরিক্ত টাকা খরচ করে এ বৈঠক করা আর হয়ে উঠছে না। এতে অনেক সময় আমদানি পণ্যের গুণগত মানও বজায় থাকছে না। ফলে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। তাই দ্রুত ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের কার্যক্রম খুলে দেওয়ার দাবি ব্যবসায়ী, ভ্রমণ পিপাসু? ও সাধারণ মানুষ 
বন্দরের ব্যবসায়ী নিউ আল আমীন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী নূরে আলম সিদ্দিকী জনি বলেন, এ বন্দর দিয়ে মানুষ চলাচল বন্ধ থাকায় দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করা যাচ্ছে না। ফলে আমরা ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত 
নাকুগাঁও স্থলবন্দরের আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অরুন চন্দ্র সরকার বলেন, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছি। বন্দরটি বন্ধ থাকায় সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।
আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল বলেন, সরাসরি ভারতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় নিম্নমানের পণ্য আমদানি হলে তাতে অভিযোগের সুযোগ থাকে না। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। তাই অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সার্বিক বিবেচনায় এ বন্দরটি দ্রুত খুলে দেওয়া দরকার।
এ ব্যাপারে নাকুগাঁও স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) পার্থ চন্দ্র ঘোষ জানান, এই বন্দর দিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট খুলে দেওয়া হবে। তখন চিকিৎসা সেবাপ্রার্থী, ব্যবসায়ী ও ভ্রমণ পিপাসুরা এই বন্দর দিয়ে সহজে ভারতে যেতে পারবেন। এ নিয়ে প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।