নালিতাবাড়ী

জনপ্রতিনিধি ভাইয়ের প্রভাব দেখিয়ে সেচপাম্প দিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ কৃষকদের

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ৩ এপ্রিল ২০২২ , ৪:১৪ পিএম অনলাইন সংস্করণ

জনপ্রতিনিধি ভাইয়ের প্রভাব দেখিয়ে সেচপাম্প দিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ কৃষকদের



জনপ্রতিনিধি ভাইয়ের প্রভাব দেখিয়ে সেচপাম্প দিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ কৃষকদের।      

  

শাহাদত তালুকদার স্টাফ রিপোর্টারঃ    
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বোরো ধান চাষে কৃষকদের কাছ থেকে সেচের জন্য সেচযন্ত্রের মালিকেরা অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

প্রতি বিঘা জমিতে সেচ দিয়ে তাঁরা এক থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি নিচ্ছেন। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ায় বোরো চাষী কৃষকদের উপর চাপ এবং লোকসান হবে বলে কৃষকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে ১২ টি ইউনিয়নে,  তার মধ্যে রুপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের বর্তমান মঞ্জু আল মামুন চেয়ারম্যান এর ভাই আবু বক্কর তার নামে বাগিচাপুর গ্রামে একটি সেচ পাম্প রয়েছে। 

সেই পাম্প থেকে প্রাই ৮০ একর জমি তে বুরো জমি চাষ হচ্ছে। কৃষক কাছ থেকে প্রতি একর জমি থেকে সরকারের নির্দেশনার চেয়ে বেশি, দেড় থেকে ২ হাজার করে টাকা নিচ্ছেন এমন অভিযোগ করেছে উক্ত পাম্পের আওতাধীন কৃষক। 
      

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর কবির বলেন,এমন অভিযোগ পাচ্ছি। যাদের নাম মেনশন করে অভিযোগ পেয়েছি তাদের ডেকে নিয়ে আসছি এবং অভিযোগ সম্পর্কে তাদের কে অবগত করেছি তার মধ্যে রুপনারায়নকুড়া ইউনিয়নেরর সেচপাম্প মালিক আবু বক্কর অভিযোগ শিকার করেছেন তিনি দেড় থেকে দুই হাজার টাকা বেশি নিয়েছেন। তিনি ভুল শিকার করেছেন। 
এবং অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়া সম্পর্কে ইউএনও মহোদয়ের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।   
তিনি আরও বলেন  ‘বেশি টাকা আদায়ের ফলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আমরা পুরো উপজেলার সেচ স্কিমের মালিকদের তালিকা প্রস্তুত করছি এবং একটা হার নির্ধারণ করে দিয়েছি। এটা বাস্তবায়নের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানসহ সবার সহযোগিতা লাগবে।
আমরা খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট একদম কাছ থেকে দেখতে পাই, তাই তাদের ক্ষতি আমাদের কাম্য নই।    
     
গ্রামের কয়েকজন কৃষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সার, শ্রমিকের খরচ দিয়ে বোরো ধান চাষ করে কোনো লাভ তুলতেই হিমশিম খাই, এর মধ্যে আবার এরা পানি দিয়ে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে, যদি দিতে না চাই হুমকি দেই জমিতে পানি দিবে না, তাই কিছু বলতেও ভয় লাগে,আবার চেয়ারম্যান এর ভাই, আমাদের হইছে বিপদ। স্যারদের কাছে দাবি অতিরিক্ত টাকা গুলো ফিরত দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।       
এ বিষয়ে সেচপাম্প মালিক আবু বক্কর বলেন  আমি আস পাশের সেচপাম্প মালিকদের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই টাকা উত্তলন করেছি। এতি মধ্যে ৯৯% টাকা তুলে ফেলেছি যেহেতু । এখন অবগত হয়েছি,সামনে বছর থেকে সরকারের নির্ধারিত ভাড়া উত্তলন করবো।