দেশজুড়ে

বাজারে চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে শীতের সবজি

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ১১ নভেম্বর ২০২৩ , ৯:০৩ এএম অনলাইন সংস্করণ

বাজারে চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে শীতের সবজি।

তহিদুল ইসলাম

সারা বছরই সবজি পাওয়া যায় বাজারে। তবু শীতকালকে বলা হয় সবজির মৌসুম। শীতকালীন সবজির প্রতি মানুষের আগ্রহও থাকে বেশি। প্রকৃতিতে শীতকাল আসি আসি করছে। আর এরই মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি। মুলা, শিমের মতো শীতকালীন সবজি বাজারে এসেছে আরও বেশ কিছু দিন আগে। এখন আসতে শুরু করেছে শালগম, পেঁয়াজ পাতা, কাঁচা টমেটোর মতো সবজিগুলো। বাজারে এসেছে ঠিকই, কিন্তু এগুলো বিক্রি হচ্ছে চড়া মূল্যে।

বিক্রেতারা বলছেন, নতুন এসেছে বলেই এগুলোর দাম বেশি। কয়েক দিন গেলেই দাম কমতে শুরু করবে। তবে বেশি দামেই অনেক ক্রেতাকে কিনতে দেখা যায় এসব সবজি। তাদের ভাষ্য, নতুন সবজি এসেছে বাজারে, টেস্ট না নিলে কীভাবে হয়।

শুক্রবার বিভিন্ন বাজার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় শীতের সবজির এই চিত্র। বাজারে শীতকালীন সবজি ছাড়া অন্যান্য সব সবজির দামই রয়েছে নিম্নমুখী। বিক্রেতারা বলছেন, সব সবজির দামই কমেছে। আরও হয়তো কমে যাবে।


শিম ৮০-৯০, শালগম ৬০-৭০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৯০-১২০, টমেটো ১৪০, পেঁয়াজ পাতা ১২০-১৬০, মুলা ৬০, গাজর ১২০, লম্বা বেগুন ৬০, সাদা গোল বেগুন ৬০, কালো গোল বেগুন ১০০, শসা ৬০- ৮০, করল্লা ৮০, উচ্ছে ৮০, পেপে ৪০, পটল ৬০, মিষ্টি কুমড়া ৬০ , ঢেঁড়স ৭০, চিচিঙ্গা ৬০, ধুন্দল ৬০, বরবটি ৮০, কচুর লতি ৬০, কচুরমুখী ৮০, কাঁচা মরিচ ১৬০, ধনেপাতা ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিটি লাউ ৭০ টাকা, ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা ও চাল কুমড়া ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
আমদানির খবরে কিছুটা কমেছে আলুর দাম। কিন্তু পেঁয়াজ এখনও সেঞ্চুরিয়ান। একশ’ টাকার নিচে কোনও পেঁয়াজ নেই।


আজ বাজারে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ১৩০, ক্রস জাতের পেঁয়াজ ১৩০, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০, লাল ও সাদা আলু ৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। কিন্তু সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিকেজি পেঁয়াজের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা। আলু কেজিতে ভোক্তা পর্যায়ে ৩৫/৩৬ টাকা ও কোল্ড স্টোরেজ থেকে ২৬/২৭ টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু আলু-পেঁয়াজ আমদানির পরও সরকার এই দামে দিতে পারেনি ভোক্তাদের। এছাড়া আজ ভারতীয় আদা ২২০ টাকা, দেশি রসুন ২০০ টাকা, চায়না রসুন ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া আজ ইলিশ মাছ ১৮০০, রুই মাছ ৩৬০-৫৫০, কাতল মাছ ৩৫০-৫৫০, কালিবাউশ ৪০০-৬০০, চিংড়ি মাছ ৮০০-১৪০০, কাঁচকি মাছ ৫০০-৬০০, কৈ মাছ ৩৫০-১০০০, পাবদা মাছ ৬০০, শিং মাছ ৫০০-৬০০, বেলে মাছ ৬০০-১০০০, টেংরা মাছ ৭০০-১০০০, কাজলি মাছ ৮০০, বোয়াল মাছ ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ব্রয়লার মুরগি ১৬৫-১৯০, কক মুরগি ২৭০-২৮০, লেয়ার মুরগি ২৮০, দেশি মুরগি ৫৫০, গরুর মাংস ৭৫০-৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি ডজন লাল ডিম ১২০ টাকা, সাদা ডিম ১১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিম বিক্রেতারা বলছে দ্রুতই দাম আরো কমে যাবে।

বেড়েছে সব রকম ডালের দাম: বাজারে বেড়েছে সব রকম ডালের দাম। আজ ছোট মসুর ডাল ১৪০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১৫ টাকা, মুগ ডাল ১৪৫ টাকা, খেসারি ডাল ৯৫ টাকা, বুটের ডাল ৯০ টাকা, ছোলা ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে দেখা যায়, সব রকম ডালের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা।

এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম রয়েছে আগের মতোই। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকা, চিনি ১৩৫ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৪০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১২০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।