নালিতাবাড়ী

জনপ্রতিনিধির  কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় সংখ্যালঘু নারীকে নির্যাতন,বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ৩০ অক্টোবর ২০২৩ , ৬:০২ পিএম অনলাইন সংস্করণ

জনপ্রতিনিধির  কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় সংখ্যালঘু নারীকে নির্যাতন,বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন 

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিভুক্ত সনাতন ধর্মাবলম্বী এক সংখ্যালঘু নারীকে  কু-প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়ে নিজের ভাইকে লেলিয়ে দিয়ে মারধর ও শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটেছে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে।

গত মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে বনকুড়া এলাকায় ওই নারীর বাড়িতে ঢুকে মারধর ও শ্লীলতাহানীর এ ঘটনায় পরপর  নালিতাবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। উপরন্তু ওই নারী ও তার পরিবারকে প্রতিনিয়ত হুমকী দিয়ে চলেছে অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম কমলসহ সঙ্গীয়রা। কু-প্রস্তাবকারী রফিকুল ইসলাম উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য। আমিনুল ইসলাম কমল তারই ছোট ভাই।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে স্থানীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই সংখ্যালঘু নারী।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গেল বছর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির জন্য সরকারের বরাদ্দ থেকে ভুক্তভোগী নারী শ্রীমতি রূপসী রানীকে একটি সেমিপাকা ঘর করে দেওয়া হয় বনকুড়া ভেদামারী এলাকায়। 

ঘর নির্মাণকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ঘর নির্মাণে বাধা প্রদান করেন। পরে উপজেলা প্রশাসন ও ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর হস্তক্ষেপে ইউপি সদস্য পিছু হটেন। এর কিছুদিন পর ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম সন্ধ্যায় ওই বাড়িতে একা পেয়ে রূপসীকে কু-প্রস্তাব দেয়। এসময় ডাকাডাকি শুরু করলে ইউপি সদস্য পালিয়ে যান। 

এদিকে গত ২৪ অক্টোবর বিকেলে প্রতিমা বিসর্জনকালে রূপসীর বাড়িতে আমন্ত্রণে আসেন ও ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক হীরণ চন্দ্র বর্মন, রূপসীর স্বামী যে বাড়িতে কাজ করেন ওই বাড়ির মালিক মীর হোসেন ও হরকান্ত চন্দ্র বর্মন। আপ্যায়নকালে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই আমিনুল ইসলাম কমলসহ

কয়েকজন যুবক অতর্কিতে রূপসীর বাড়িতে ঢুকে মারধর ও টানাহেচড়া করে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে।

  সংবাদ সম্মেলন করে সংবাদকর্মীদের সহায়তা চান ভুক্তভোগী রূপসী ও তার পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাব নালিতাবাড়ীর সাধারণ সম্পাদক মো:মনিরুল ইসলাম মনির, সহ সভাপতি বিপ্লব দে কেটু প্রমুখ।