নালিতাবাড়ী

নালিতাবাড়ীর কৃষকের সুবিধার জন্য দশ কিলোমিটার খাল খনন

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২২ , ৭:৩৫ পিএম অনলাইন সংস্করণ

নালিতাবাড়ীর কৃষকের সুবিধার জন্য দশ কিলোমিটার খাল খনন



নালিতাবাড়ীর কৃষকের সুবিধার জন্য দশ কিলোমিটার খাল খনন।
দীর্ঘদিনের কৃষকের দাবি এবং বঞ্চিত অবহেলিত    পতিত জমিতে সেচ সুবিধা দিয়ে আবাদের আওতায় এনে কৃষিতে সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে প্রায় দশ কিলোমিটার খাল খনন সম্পন্ন হয়েছে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে।
 শেরপুর -টু  নকলা নালিতাবাড়ীর স্থানীয় সাংসদ ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর নামে বরাদ্দকৃত টিআর-কাবিটা’র অর্থায়নে উপজেলার বরুয়াজানি গ্রাম থেকে ভারত সীমান্তবর্তী তারানী গ্রাম পর্যন্ত এলাকাজুড়ে সম্পন্ন হয়েছে  ‘ব্রজমালা’ নামে এ খাল খননের কাজ।
স্থানীয় সংসদ সদস্যের নামে বরাদ্দকৃত টিআর (টেস্ট রিলিফ) ও কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা) এ দুটি প্রকল্পের অর্থায়নে ‘ব্রজমালা খাল’ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো । 
একসময়ের ভরাট হয়ে যাওয়া ‘ব্রজমালা খাল’ পুনখননের মাধ্যমে শুস্ক মৌসুমে পানি সঙ্কট এবং বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশায় বুক বেঁধেছেন স্থানীয় কৃষকরা এবং তার ফলাফল সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথেই সুবিধা পাওয়া শুরু করেছেন। 
অগ্নি কন্যার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কম বাজেটে এত দীর্ঘ খাল খননও যেন সারাদেশে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। 
অন্যদিকে খালটি খনন করে ভাটিতে বরুয়াজানি গ্রামের বুকচিরে বয়ে যাওয়া দর্শা নদী বা খালে সংযোগ দেওয়ার ফলে দর্শা খালে যৌবন ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উত্তরে ভারতের তুরা থেকে বয়ে আসা ভোগাই নদী থেকে সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি এনে তা ‘ব্রজমালা খালে’ ফেললে এ খালটি যেমন সচল হবে। তেমনি এ পানি ভাটিতে দর্শা খালে গিয়ে প্রবাহিত হয়ে দর্শার যৌবন ফিরিয়ে দেবে। ‘ব্রজমালা খাল’টি খননের ফলে উপজেলার কাকরকান্দি ও রামচন্দ্রকুড়া এ দুটি ইউনিয়নের অন্তত পাঁচ গ্রামের মানুষ সেচ সুবিধা পাবে। বিশেষ করে, কালাকুমা, রামচন্দ্রকুড়া, বিশগিরিপাড়া ও বরুয়াজানি এ চার গ্রামের কৃষক সেচ সুবিধার মাধ্যমে ধানসহ সবজি উৎপাদনে এ খালটি ব্যবহার করতে পারবেন। 
অপেক্ষাকৃত উচু কালাকুমা, রামচন্দ্রকুড়া, বিশগিরিপাড়া ও বরুয়াজানি গ্রাম সবজি আবাদের জন্য উল্লেখযোগ্য এলাকা। খালটি খননের ফলে সেচ সুবিধা বঞ্চিত এসব গ্রামে সবজি আবাদের পরিমাণ বাড়বে বলে প্রত্যাশা কৃষি বিভাগ ও স্থানীয়দের। পাশাপাশি এলজিইডি’র মাধ্যমে খালটির দুই অংশে স্লুইচ গেইট বা জলকপাট নির্মাণ করে পানি ধরে রাখার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। এতে করে সেচ সুবিধার সাথে দেশীয় মাছের উৎপাদন বাড়লে পাহাড়ি এলাকায় মাছের যোগান আসবে বলেও প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
বিশগিরিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাবেক সেনা সদস্য মজিবর রহমান (৫৫) জানান, খালটি খননের ফলে আমাদের এলাকায় সেচ সুবিধা বাড়বে। ফলে সবজি আবাদ বৃদ্ধি পাবে। বাড়বে মাছের আবাদ। বিষয়টির সাতে একমত পোষণ করে স্থানীয় কৃষি বিভাগও বলছে, স্লুইচ গেইটের মাধ্যমে পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করা হলে সবজি আবাদে সেচ সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।
এই কাজের প্রশংসায় এখন এলাকাবাসী, ঈদের আনন্দের মতো এখন কৃষকের মুখে হাসি।