নালিতাবাড়ী

নালিতাবাড়ীতে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে২০২৩ সার্জেন্ট আহাদ স্মরণে।

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ৩ মার্চ ২০২৩ , ৭:৪৬ পিএম অনলাইন সংস্করণ

নালিতাবাড়ীতে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে২০২৩ সার্জেন্ট আহাদ স্মরণে।



নালিতাবাড়ীতে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে২০২৩ সার্জেন্ট আহাদ স্মরণে। 
পুলিশ মেমোরিয়াল ডে উপলক্ষে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সার্জেন্ট আহাদ স্মরণে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেরপুর জেলা পুলিশের আয়োজনে শুক্রবার (০৩ মার্চ) বিকেলে পৌরশহরের সার্জেন্ট আহাদ স্মৃতি প্রাঙ্গণে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেলে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সার্জেন্ট আহাদের স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর জেলা পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বিপিএমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে মুঠোফোনে বক্তব্য রাখেন সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি । 
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বক্কর সিদ্দিক, নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু, পৌরমেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোস্তফা কামাল, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক, সার্জেন্ট আহাদের বড় ভাই হাকাম হীরা, নালিতাবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল মান্নান সোহেল, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক বিল্লাল চৌধুরী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক জোবায়ের আলম প্রমুখ।
এর আগে ১৯৯৯ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার নটরডেম এলাজায় ছিনতাইকারীদের ধরতে পুলিশের তিনটি টিম যৌথভাবে কাজে নামে। একটি দলের প্রধান ছিলেন সার্জেন্ট আহাদ। কয়েকজন যাত্রীবেশী ছিনতাইকারী একটি টেম্পো নিয়ে শিল্প ভবন থেকে পূর্বাণী ও বিমান অফিসের মাঝের রাস্তা দিয়ে শাপলা চত্বর যাওয়ার সময় সন্দেহবশত সার্জেন্ট আহাদ টেম্পো থামার সংকেত দেন। বিপদ বুঝে টেম্পোটি বিমান অফিসের পশ্চিম পাশ দিয়ে জনতা ব্যাংক ভবনের দিকে মোড় নেয়। টেম্পো না থামায় সার্জেন্ট আহাদ দৌড়ে টেম্পোর পেছনে উঠেন।
এরপর সার্জেন্ট আহাদ টেম্পোর পেছনে ঝুলতে থাকেন। টেম্পোটি বাংলার বাণী অফিস সোজাসুজি হলেই সার্জেন্ট আহাদ পড়ে যান। আসলে তিনি পড়ে যাননি। ছিনতাইকারীরা যখন কোনোভাবেই সার্জেন্ট আহাদকে পরাস্ত করতে পারছিল না, তখন মাথায় আঘাত করে এবং তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
পরে সার্জেন্ট আহাদকে প্রথমে পুলিশ হাসপাতাল, তারপর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হাসপাতাল এবং সর্বশেষ সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি মারা যান।
উল্লেখ্য, সার্জেন্ট আহাদের জন্ম শেরপুরের নালিতাবাড়ী ১৯৬১ সালের ২৩ ডিসেম্বর এবং তিনি ১৯৮৫ সালে সার্জেন্ট পদে চাকরিতে যোগ দেন। চাকরিজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সার্জেন্ট আহাদ অসংখ্য সাহসী ঘটনার স্বাক্ষর রেখেছেন।