শেরপুর

শেরপুরে চৈত্র মাসের প্রখর রৌদ্রে কোমল হাতের মজার পিঠা

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ১৪ মার্চ ২০২৩ , ৫:২৬ পিএম অনলাইন সংস্করণ

শেরপুরে চৈত্র মাসের প্রখর রৌদ্রে কোমল হাতের মজার পিঠা



চৈত্র মাসের প্রখর রৌদ্রে কোমল হাতের মজার পিঠা 
নকলা উপজেলা প্রতিনিধি: হাসান মিয়া।
বাংলাদেশের বিস্তীর্ন জনপদে ঠিক কত পদের পিঠা প্রস্তুত হয় তার সঠিক কোনো হিসাব নেই৷ পুরো বাংলাদেশে জনপ্রিয় কিছু পিঠার কথা আমরা বলতে পারি৷ এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, তেলের পিঠা, পুলি পিঠা, ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, দুধ পিঠা, রসের পিঠা, নকশি পিঠা ইত্যাদি৷ তবে এইবার ভিন্ন এক পিঠার গল্পই আমরা শোনবো আপনাদের ।

বলছি , শিল্প এলাকা নামে খ্যাত শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার ‘জালালপুর’ গ্রামের কথা । এই গ্রামকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ।জানা যায় বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য লেগেই থাকে এই গ্রামে।

গ্রামের ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যস্ত সময় পার করেন। তাই তো প্রত্যেক বছরের ন্যায় এই বছরেও  চৈত্র মাসের প্রখর রোদে তৈরি হচ্ছে হাতের তৈরি এই পিঠা। যাকে গ্রামের ভাষায় বলা হয় ঝুড়ি পিঠা। 


পিঠা তৈরির সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন , রৌদ্রে সকাল সকাল পিঠা তৈরির প্রাথমিক  কাজ গুলো করতে হয় এবং সারাদিন রৌদ্রে শুকাতে দিতে হয় আবার সেগুলোকে শুকানোর পর ভাজা হয় ।


ঝুড়ি সম্পূর্ণ প্রস্তুত হওয়ার পর এগুলোকে প্যাকেটজাত করে পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রি করা হয় জেলার বিভিন্ন স্থানে ,এমনকি উৎসবমুখর পরিবেশে গুলোতে।

ঝুড়ি ব্যবসায়ী জিয়ারুল মিয়া বলেন ,  তাদের এই গ্রামে প্রত্যেক বছরের চৈত্র মাসের শুরু থেকে বৈশাখ- জ্যেষ্ঠ  মাস গুলোতে এই পিঠা বানানো ধুম পড়ে যায় । আর এই পিঠাগুলো তৈরি করতে প্রয়োজন হয় চাল ,লবণ ও পানির ।

তিনি আরো বলেন ব্যবসাটা যদিও তেমন লাভজনক নয় তবে আমাদের এই মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে একটা উৎসবমুখর পরিবেশে মেতে উঠি সবাই ।  

জানা যায় , প্রতি কেজি এই সাদা ঝুড়ির মূল্য ১৪০-১৫০ টাকা ।এবং মিঠাই মিশ্রিত ঝুড়ি ১৭০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয় ।