নালিতাবাড়ী

সড়কে ধান মাড়াই দুর্ঘটনার শঙ্কাঃসতর্ক করতে মাঠে ইউএনও

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ২ মে ২০২৩ , ২:১৪ পিএম অনলাইন সংস্করণ

সড়কে ধান মাড়াই দুর্ঘটনার শঙ্কাঃসতর্ক করতে মাঠে ইউএনও



সড়কে ধান মাড়াই দুর্ঘটনার শঙ্কাঃসতর্ক করতে মাঠে ইউএনও।
নালিতাবাড়ীতে বিভিন্ন ইউনিয়নে সড়কের ওপর চলছে বোরো ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কাজ। সড়কের বড় অংশ দখল করে একটু পর পর ধানের স্তূপ ও মাড়াইয়ের মেশিন রাখার কারণে সড়ক অনেকটাই সরু হয়ে গেছে। এতে যানবহান চলচলে বিঘ্ন ঘটছে। এমনকি দুর্ঘটনারও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি রাস্তায় ধান শুকাতে দেওয়ায় ও খড় বিছিয়ে রাখায় পথচারীরাও পড়ছেন বিপাকে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে বোরো ধানমাড়াই এবং ধান ও খড় শুকানোর চিত্র দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে নালিতাবাড়ী উপজেলা থেকে নয়াবিল -স্থল বন্দরের বিশ্বরোডে,নালিতাবাড়ী থেকে গাজিরখামার যাওয়ার সড়ক গুলোতে। এ যেন এক ধানমাড়াইয়ের উঠান হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষকরা পাশেই শ্যালোচালিত ইঞ্জিন দিয়ে মাড়াই করছেন এসব ধান। মাড়াই শেষে অনেকে ধান বাড়ি নিয়ে গেলেও খড় সড়কের ওপরেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখছেন শুকানোর জন্য। শুকানোর পর সড়কের পাশেই খড় স্তূপ করে রেখেছেন অনেকে। এ ছাড়া কেউ কেউ ধান সিদ্ধ করে শুকাচ্ছেন সড়কে। এর মধ্য দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রাক, অটোরিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল, ট্রাক্টরসহ অন্যান্য যানবাহন।
অটোরিকশা চালকরা বলছেন, সড়কজুড়ে ধানমাড়াইয়ের কাজ করছেন কৃষকরা। খড় বিছানো সড়কে গাড়ি চালাতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়ছেন। অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটছে।
পথচারী মো. আরিফ মিয়া বলেন, ‘কয়েক দিন আগে সড়কে বিছানো খড়ে পিছলে পড়ে আহত হয়েছেন কয়েকজন মোটরসাইকেল চালক।’
ট্রাকচালক আব্বাস আলী বলেন, ‘সড়কের দুই পাশে খড়, ধান শুকানো ও মাড়াইয়ের কারণে রাস্তা সরু হয়ে যায়। এতে সড়কে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। জ্যামে আটকা পড়লে অনেক সময় ধান অন্য জায়গায় সরিয়ে গাড়ি নিয়ে আসতে হয়।’
এই অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার  খৃষ্টাফার হিমেল রিছিল ২মে মঙ্গলবার পরিদর্শন করে কৃষকদের সতর্ক করতে দেখা যায়। 
এসব অভিযোগের বিষয়ে ধানমাড়াইকারী কৃষকরা বলছেন, তারা অল্প সময়ের জন্য রাস্তায় ধানমাড়াই এবং ধান শুকানোর কাজ করছেন। এতে যানবাহনের সাময়িক একটু ক্ষতি হলেও তাদের অন্য কোনো উপায় নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘সড়ক দখল করে এ ধরনের কর্মকান্ড করা বেআইনি। ঘটনাস্থলে গিয়ে এসব বন্ধের জন্য সাবধান করে আসছি।