খবরটি পড়েছেনঃ 76
পনেরো লাখ টাকার মামলায় হেনস্তাঃসংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক
দফায় দফায় মিলে মাত্র এক লাখ টাকা সুদে ঋণ নিয়ে দাদন ব্যবসায়ীর দেওয়া পনোরো লাখ টাকার মামলায় হেনস্তা হচ্ছেন রতন চন্দ্র পাঠক নামে এক প্রাইমারী স্কুল শিক্ষক। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক এর প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় শহরে উত্তর বাজার এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনি শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বুরুঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শিক্ষক রতন চন্দ্র পাঠক বলেন, শহরের আড়াইআনী বাজার এলাকার দাদন ব্যবসায়ী হাসানুজ্জামান খোকন এর কাছ থেকে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রতিমাসে শতকরা ১০ টাকা হারে সুদে ২০ হাজার টাকা ঋণ নেন। চাকুরীর ব্ল্যাঙ্ক চেক বন্ধক রেখে নেওয়া ঋণের পর তিনি আরও কয়েক দফায় মিলে এক লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। নিয়মিত সুদ প্রদান না করায় একপর্যায়ে এক লাখ টাকা সুদ ও আসলসহ অংক বেড়ে বছর ঘুরে চার লাখে দাড়ায়। এসময় ওই দাদন ব্যবসায়ীর সাথে সুদের হার ১০ টাকা থেকে নামিয়ে ৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় সুদের টাকা দিতে না পারায় বছর ঘুরে ২০২০ সালের দিকে তা ৮ লাখে পৌছায়। এসময় ওই দাদন ব্যবসায়ীর দাবীকৃত সমুদয় টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে ২০২০ সালের শেষদিকে আদালতে পনেরো লাখ টাকার চেক ডিজঅনার মামলা করে দেন শিক্ষক রতন এর বিরুদ্ধে। এর অনুকূলে ৫ অক্টোবর অগ্রণী ব্যাংক নালিতাবাড়ী শাখা থেকে সাদা চেকে পনোরো লাখ টাকার অংক বসিয়ে তা ডিজঅনার করানো হয়।
এদিকে এক লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করে বিভিন্ন সময় দাদন ব্যবসায়ী হাসানুজ্জামান খোকনকে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা পরিশোধ করেছেন বলে জানান রতন চন্দ্র পাঠক।
তিনি অভিযোগ করে জানান, বন্ধকী চেক এর পাতা শেষ হওয়ার পর দাদন ব্যবসায়ী খোকন জেক বইয়ের সাদা পাতা ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে নতুন চেক বই উত্তোলন করে। পরে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে দাদন ব্যবসয়ী খোকন তার একাউন্ট থেকে চাকুরীর বেতনের টাকা উত্তোলন করেছে দফায় দফায়। এসময় তিনি তার প্রকৃত স্বাক্ষর ও জালিয়াতি করা স্বাক্ষরও উপস্থাপন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাদন ব্যবসায়ীর হেনস্তা থেকে মুক্তি পেতে সহযোগিতা কামনা করেন।
Related