বাংলাদেশ

চিরিরবন্দরে যথাযোগ্য মর্যাদায় শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ৫ অগাস্ট ২০২৩ , ৬:৫৪ পিএম অনলাইন সংস্করণ

চিরিরবন্দরে যথাযোগ্য মর্যাদায় শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী



চিরিরবন্দরে যথাযোগ্য মর্যাদায় শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী 
রুবেল চিরিরব বন্দর দিনাজপুর প্রতিনিধি 
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর প্রতিকৃতিতে উপজোলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন
 নবাগত উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা এ, কে. এম শরীফুল হক।
শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদ হল রুমে স্থাপিত শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে নবাগত উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা এ, কে. এম শরীফুল হক উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামীলীগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গকে সাথে নিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ ও শেখ কামালের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুম্পস্তবক অর্পণ শেষে, কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 
উল্লেখ্য -বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ১৯৪৯ সালের ৫ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়।
তিনি বঙ্গবন্ধুর মতই ছিলেন বাঙ্গালীর অধিকার আদায়ে সোচ্চার আর নির্ভীক। তিনি ৬ দফা ও ১১ দফা আন্দোলন এবং ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন আর ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। 
স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে শেখ কামালের অবদান চিরস্মরণীয়। মাত্র ২৬ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবন ছিল তাঁর অসামান্য অর্জনে সমৃদ্ধ। 
বহু গুনের অধিকারী শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবন ও আদর্শ সবসময় আমাদের কাছে, বিশেষ করে যুব সমাজের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ, কে. এম শরীফুল হক এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুনাল্ট চাকমা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সুনীল কুমার সাহা, চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বজলুর রসিদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারমেন শ্রী জ্যোতিষ চন্দ্র রায়।
এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জোহরা সুলতানাসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 
তাঁর ৭৪তম জন্মবার্ষিকীতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও দোয়া কামনা করে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বৃক্ষরোপণ করা হয়।
এছাড়াও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ এবং রাজনৈতিক নেতাকর্মীবৃন্দ ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ এ সময় পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।