বাংলাদেশ

মাদারগঞ্জের বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব মির্জা আবুল কাশেমের ১২তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ২৪ মে ২০২৩ , ১:৫২ পিএম অনলাইন সংস্করণ

মাদারগঞ্জের বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব মির্জা আবুল কাশেমের ১২তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ



মাদারগঞ্জের বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব মির্জা আবুল কাশেমের ১২তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ 
মাদারগঞ্জ উপজেলা ( সংবাদ দাতা ) 
মাদারগঞ্জের বিশিষ্ট সমাজসেবক, দানবীর,, শিক্ষানুরাগী, আলহাজ্ব মির্জা আবুল কাশেমের ১২তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ 
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, জামালপুর তিন আসনের ( মেলান্দহ মাদারগঞ্জ ) সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব মির্জা আজম এম পি মহোদয় এর পিতা মাদারগঞ্জের বিশিষ্ট সমাজ সেবক দানবীর আলহাজ্ব মির্জা আবুল কাশেম সাহেবের ১২ তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ৷ 
আলহাজ্ব মির্জা আবুল কাশেম ১৯২৯ সালের ০৮ অক্টোবর জামালপুর জেলা মাদারগঞ্জ উপজেলার সুখ নগরী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত বনেদি পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন ।
 পিতা- মির্জা রওশন আলী, মাতা- ফাতেমা বেগম। ০৬ ভাই ০২ বোনের মধ্যে তিনি বাবা-মা’র পঞ্চম সন্তান । নিজ উপজেলার চর নগর গ্রামের নুরুন্নাহার বেগমকে জীবন সঙ্গী হিসাবে গ্রহন করেন । পারিবারিক জীবনে তাদের ০৭ পুত্র – মির্জা গোলাম মোস্তফা, মির্জা আজম, মির্জা আনোয়ারুল ইসলাম, মির্জা গোলাম কিবরিয়া কবির, মির্জা গোলাম রব্বানী রিপন, মির্জা জিল্লুর রহমান শিপন ও মির্জা গোলাম মওলা সোহেল এবং ০২ কন্যা – মির্জা মরিয়ম বেগম মিনার ও মির্জা নুরজাহান বেগম রূপা। 
একজন অতিথি পরায়ণ, মানব দরদী, দানশীল, শিক্ষা ও ধর্মানুরাগী, উদার মনের মানুষ- আলহাজ্ব মির্জা আবুল কাশেম “হাজী-সাহেব” নামেই সমধিক পরিচিত ছিলেন । ব্যবসা দিয়ে যার জীবনের সফলতার শুরু এবং সকল ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সফলতার মধ্যদিয়ে নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়েছেন। মক্তবে পবিত্র কোরআন শিক্ষার মধ্যদিয়ে পড়ালেখায় হাতেখড়ি। সুখ নগরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা এবং বালিজুড়ি এফ এম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে তিনি ব্যবসার প্রতি ঝুকে পড়েন। বুদ্ধিমত্তা, সততা, কঠোর পরিশ্রম, একাগ্রতা তাকে সফলতার দিকে এগিয়ে নিতে থাকে। দ্রুত প্রসার লাভ করতে থাকে তার ব্যবসার পরিধি। ক্রমান্বয়ে জামালপুর জেলার সেরা ব্যবসায়ী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। 
 একাত্তুরে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের খাদ্য সরবরাহ-সহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা দিয়েছেন। 
১৯৮৪ ও ১৯৮৮ সালে পরপর দুই বার তিনি ৪নং বালিজুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়ন ও মানব সেবার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। সামাজিক অস্থিরতা ও আইন শৃঙ্খলা অবনতি জনিত যে কোন অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে তার কোন জুড়ি ছিল না। সাহিত্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া খেলাধুলা, ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে তার পৃষ্ঠপোষকতা ছিল অতুলনীয়। 
বালিজুড়ি বাজার- বাড়ির আঙ্গীনায় নুরুন্নাহার হাফেজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে পবিত্র কোরআন শিক্ষার পথ অবারিত করে দেন। পরবর্তীতে মাদারগঞ্জ উপজেলার প্রায় সবগুলো হাফেজিয়া মাদ্রাসা এই মাদ্রাসার ছাত্রদের দ্বারা পরিচালিত হয়। একাধারে তিনি আব্দুল আলী মির্জা কাশেম ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা, নুরুন্নাহার মির্জা কাশেম মহিলা ডিগ্রি কলেজ, উপজেলা মির্জা কাশেম মডার্ণ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিজুড়ি বায়তুল মামুর জামে মসজিদ, উপজেলা মির্জা কাশেম পাবলিক লাইব্রেরীর প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়াও তিনি মাদারগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন। 
আলহাজ্ব মির্জা আবুল কাশেম ২০১১ সালের ২৪ মে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।