নালিতাবাড়ী

নালিতাবাড়ীর উদ্যোক্তা তরুণ কৃষক আমির হামযার পাশে কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবীর।

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ৬ মার্চ ২০২৩ , ৫:৩৯ পিএম অনলাইন সংস্করণ

নালিতাবাড়ীর উদ্যোক্তা তরুণ কৃষক আমির হামযার পাশে কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবীর।



নালিতাবাড়ীর উদ্যোক্তা তরুণ কৃষক আমির হামযার পাশে কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবীর। 
 দারিদ্র্যতায় যেখানে দেয়ালে পিঠ ঠেকাচ্ছে সেখানে কৃষিই যেন উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন জোগাচ্ছে। ঠিক এর একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত কৃষি উদ্যোক্তায় স্বপ্নবাজ আমির হামজা।
 ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখে উৎসাহিত হয়ে স্বল্প পুঁজিতে ভালো মুনাফা পাওয়ার আশায় নালিতাবাড়ীর পৌরশহরের দক্ষিণ বাজারের বেকার যুবক আমির হামযা ১৮ হাজার টাকা দিয়ে মাশরুম চাষ শুরু করেন।
এমন নিউজ ৫ মার্চ রবিবার প্রকাশ হওয়ার পর নালিতাবাড়ী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবীর মধ্য রাতেই যোগাযোগ করে সেই আমির হামযার তথ্য নিয়ে ৬ মার্চ সোমবার বিকালে কৃষি সম্প্রাসারণ অফিসার মওদুদ ও আনোয়ার হোসেন সহ একটি টিম নিয়ে উপস্থিত হয় আমির হামযার বাড়িতে।
 মাশরুমের সেড দেখে আমির হামযার কাছে জানতে চায় তার পরিকল্পনা সম্পর্কে। এর পর আমির হামযা তার দারিদ্রতা সম্পর্কে বিস্তারিত বলেন, ১৮ হাজার টাকা এক সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে মাশরুম চাষ শুরু করেন। এখন সে সহযোগিতা পেলে বানিজ্যিক ভাবে চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বিস্তারিত শোনে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা  আলমগীর কবীর তাকে সার্বিক সহযোগিতা করার কথা জানিয়ে পরামর্শ দিয়ে উৎসাহিত করেন। 
এ নিয়ে কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবীর বলেন, আমির হামযার মতো বেকার তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা হলেই আমাদের সরকারের পরিকল্পনা স্মার্ট বাংলাদেশ তা সফলতা পাবে।ইতিমধ্যে আমি এই উপজেলায় শিক্ষার্থী ও তরুণ কৃষকদের নিয়ে সেমিনার করেছি। তাদেরকে নানা ভাবে উৎসাহিত করে কৃষিতে আগ্রহী করে তোলার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি।আমির হামযার মতো বেকার তরুণ এগিয়ে আসুক কৃষিতে,আমরা সবসময় পাশে রয়েছি। 
আর আমির হামযাকে দিয়ে বানিজ্যিক ভাবে মাশরুম চাষ করার সহযোগিতা করবো। 
আমির হামযা ছোট একটি চালা ঘরে বাঁশের চাঙ এর উপর এই অয়েস্টার মাশরুম চাষ শুরু করেছে। ইউটিউবের ভিডিও দেখে কোনো রকম ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ ছাড়াই। মাশরুমের বীজ বপন করার পর প্রথম এক মাসে ৫ হাজার টাকার মাশরুম বিক্রি করেছেন খুচরা বাজারে ৩০০ টাকা কেজিতে।পাইকারি বাজার মূল্য ২৫০ টাকা।
এই ভাবে টানা তিন মাস মাশরুম উত্তোলন করা যাবে।
মাশরুমের উপকারিতা হলোঃ 
মাশরুমকে বলা হয় পুষ্টির ভাণ্ডার। মাশরুমের রেসিপিতে প্রোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ভিটামিন ডি, কপার, পটাসিয়াম, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, ফাইটোকেমিক্যালস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরকে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। মাশরুমে কোলিন নামক একটি উপাদান রয়েছে, যা স্মৃতিশক্তির জন্য উপকারী ।এটা বিশ্বাস করা হয়. মাশরুম খেলে ডায়াবেটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। মাশরুমে ক্যালোরি এবং চর্বি কম থাকে, যা আপনার ওজন বৃদ্ধি রোধ করতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও নানা উপকারিতা রয়েছে মাশরুমে।