নালিতাবাড়ী

শেরপুরে চলতি বছরে ৪৮৪টি অভিযান-মাদক বিরোধী অভিযান বাধাগ্রস্ত করতে কূটকৌশল

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৩:৩০ পিএম অনলাইন সংস্করণ

শেরপুরের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক যখন মাদককে জেলায় জিরো টলারেন্স আনার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং মাদক কারবারিদের মধ্যে মাদকসহ অনেক কারবারিও গ্রেফতার হচ্ছে। এসময় শেরপুর জেলার সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের তালুকপাড়া গ্রামের মাদক কারবারি হারুন ও অপরাপর মাদক কারবারিরা দিশেহারা হয়ে শেরপুরের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক অফিসারের যোগসাজসে মাদক বিরোধী অভিযানকে বাধাগ্রস্ত করতে নানা কূটকৌশল ও ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর স্বল্প জনবল নিয়ে মাদক বিরোধী নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে। এতে চলতি বছর ২০২৩ জানুয়ারি মাস থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত ৪৮৪টি অভিযান, ৪০টি নিয়মিত মামলা দায়ের, ১৫৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান মোট ১৯৬টি মামলা এবং ২০০ জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব অভিযানে হেরোইন ৫৪৫.৪ গ্রাম, ফেনসিডিল ৪২ বোতল, ৩ হাজার ৩৮৪ পিস ইয়াবা, গাঁজা ৪৬ কেজি ৭৩৩ গ্রাম, বিদেশী মদ ২০ বোতল, চোরাইমদ ১৩৭.৫ লিটার ও নেশাজাতীয় ২০ পিস ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়।

এদিকে শেরপুরের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কার্যালয়ের মাদক বিরোধী অভিযানের ফলে মাদক কারবারিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অপরদিকে ওই দপ্তরের একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) এর সাথে একজন কর্মকর্তা ও অন্যান্য অফিসারদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে চিহ্নিত মাদক কারবারি এবং ৮/৯টি মাদক মামলার আসামী সেই হারুনকে দিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দায়ের করিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের মত ঘটনা ঘটানো হয়। পরে এক অনুসন্ধানে কর্মকর্তারা জানতে পারেন ওই দপ্তরের একজন বির্তকিত উপ-পরিদর্শক (এসআই) চিহ্নিত ওই মাদক কারবারিকে দিয়েই তার যোগসাজসে এমন কাজ করিয়েছেন। পরবর্তীতে ওই মাদক কারবারি এসব অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছেন।

শেরপুর জেলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম ও মাদক বিরোধী অভিযানকে বাধাগ্রস্ত করতেই মাদক কারবারিরা নানা কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে এবং নির্বিঘ্নে কারবার করতে কর্মকর্তা ও অফিসারদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে এমনটাই তথ্য উঠে এসেছে। সরকার যখন মাদককে জিরো টলারেন্সে আনার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছেন, ঠিক সেই মুহুর্তে শেরপুরে মাদক বিরোধী অভিযান থমকে গেলে মাদকের বিস্তার আরো বেড়ে যাবে এবং যা নিয়ন্ত্রণ করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে।

এব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখে আসল রহস্য উদঘাটন এবং চিহ্নিত মাদক কারবারির সাথে জড়িত অফিসারকে বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনলে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা এমনটাই জানিয়েছেন।