নালিতাবাড়ী

একজন মানবিক হাস্যোজ্জ্বল ওসি বছির আহামেদ বাদল এর গল্প।

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ১৪ মার্চ ২০২২ , ১:৪৮ পিএম অনলাইন সংস্করণ

একজন মানবিক হাস্যোজ্জ্বল ওসি বছির আহামেদ বাদল এর গল্প।

একজন মানবিক ওসি বছির আহামেদ বাদল এর গল্প।

শাহাদত তালুকদার স্টাফ রিপোর্টারঃ   

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অর্জনের পাল্লা,সুনামের খাতা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। সময়ে সময়ে আলোচনা-সমালোচনায় পুলিশের খারাপ দিকগুলোই বেশি মুখরোচক হয়ে ওঠে। পুলিশ যে জনগণের বন্ধু,আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি তারা যে মানবিক কাজের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই তা আমরা ভুলে যাই। দু-একজনের অপকর্মে পুরো পুলিশ বাহিনীকে সমালোচনায় বিদ্ধ করি আমরাই। তবে পুলিশ বিভাগে রয়েছে হাজারো  মানবিক পুলিশ অফিসার।

যারা সাধারণ মানুষকে সহযোগিতার মতো মানবিক কাজগুলোও নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পরও সাধারণ মানুষের খোঁজ নেয়া কয়জনই বা করার সুযোগ পান। কথাগুলো যার সম্পর্কে বলা হচ্ছে তিনি হলেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বছির আহামেদ বাদল  । 
বর্তমানে তার নৈতিক দায়িত্বের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে কাজ করে যাচ্ছেন নালিতাবাড়ী থানার বাকি কর্মরত সকলেই।
 বছির আহামেদ বাদল নিরলস ভাবে নালিতাবাড়ী  উপজেলার অসহায় মানুষদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
করোনা কিংবা কোভিড-১৯ নামে এক ঘাতকের আঘাতে পৃথিবী যখন অচেনা। পূর্ব থেকে পশ্চিম কিংবা উত্তর থেকে দক্ষিণ, পুরো গ্রহটাই যেন লন্ডভন্ড। ছোঁয়াচে এক অদৃশ্য জীবাণুর কারণে সবাই ভয়ে তটস্থ। আপন মানুষগুলোও যেন পর হয়ে গেছে। প্রিয়জনও দূরে সরে গেছে। ঠিক তখনই  মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করে অন্যের সাহায্যে ছুটে গিয়েছেন (ওসি)বছির আহামেদ বাদল । সাধারণ মানুষ যেন এই রোগে আক্রান্ত না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রেখে ২৪ ঘন্টা ছুটে বেড়িয়েছেন মাঠে। সরকারের নির্দেশনা 100% নিশ্চিত করতে তার ভূমিকা ছিল লক্ষণীয়  । অসহায় কৃষকের ধান কাটা সহ সকল  কার্যক্রম তার ভূমিকা ছিল দৃশ্যমান।
একজন নেতা যেমন কর্মীদের অনুপ্রেরণা দিয়ে নেতৃত্ব প্রদান করে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যান, একজন কোচ যেভাবে কনফিডেন্স লেভেল তৈরি করে শিষ্যের কাছ থেকে সেরাটুকু বের করে নিয়ে আনেন একইভাবে তিনি জুনিয়র অফিসারদের কনফিডেন্স লেভেল তৈরি করে সঠিক ভাবে ডিউটি করিয়ে নেন।এবং সাধারণ মানুষ যেনো হয়রানি না হয় তাদের দ্বারা সেদিকে লক্ষ্য রাখেন।
 ওসি বছির আহামেদ বাদল নালিতাবাড়ী থানার দ্বায়িত্ব নেওয়ার পর সাধারণ মানুষ যেনো নির্ভয়ে থানায় তাদের অভিযোগ বা সহযোগিতার জন্য পুলিশকে বন্ধু ভেবে যেতে পারে সেই পরিবেশ নিশ্চিত করেছেন।থানায় অভিযোগ বা কোন পরামর্শ  জন্য গেলে কোন হয়রানি বা টাকার লেনদেন না করতে হয় সেই দিকে বিশেষ পরিবর্তন এনেছে। সাধারণ মানুষের যে কোন অভিযোগ পেলে যতো দ্রুত সম্ভব তা সশরীরে গিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেন। দিন রাত ২৪ ঘন্টা তাকে ফোন করে সাধারণ মানুষ কথা বলতে পারেন। তাদের অভিযোগ বা সহযোগিতা পেয়ে থাকেন।   
গরীব অসহায়দের যেকোন সমস্যা বা তাদের আর্থিক সহযোগিতা নিজ উদ্যোগে তিনি করে থাকেন।যেহেতু নালিতাবাড়ী থানাটি ভারতের সীমান্ত ঘেষা ,মাদকদ্রব্য, গরু পাচার বা অন্যান্য অপরাধ  সম্ভাবনা সিংহভাগ।  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে বা গরু পাচার সহ সকল  অপরাধ নিয়ন্ত্রণে  দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। রাতে নিরাপদ ভাবে ব্যবসায়ী বা সাধারণ মানুষ নির্ভয়ে ঘুমাতে পারে, কোন চুরি ডাকাতি না হয় সেই জন্য সারারাত পুলিশ পাহাড়ার ব্যবস্থা করেছেন । সব মিলে এক কথায় নালিতাবাড়ী থানায় ওসি বছির আহামেদ বাদল সকল সাধারণ মানুষের কাছে মানবিক পুলিশ নামে ভালবাসা অর্জন করেছেন  ।                                        
থানায় আসা একব্যক্তির সাথে কথা হলে তিনি জানান, সম্প্রতি আমার বাড়ির একটা সমস্যা নিয়ে থানায় অভিযোগ করেছিলাম। সমস্যা সমাধানে স্যারের আন্তরিকতার কোন অংশে কমতি ছিল না। আমার দেখা পুলিশ অফিসারের মধ্যে সেরা এই স্যার। যদি বলি একজন মানবিক অফিসার, যদি বলি একজন নিষ্ঠাবান অফিসার, যদি বলি একজন অসাধারণ ভালো মানুষ, সব বিশেষণ স্যারের সঙ্গে মিশে আছে। জানতাম না এতো মানবিক অনুভূতির পুলিশও আছে।
নালিতাবাড়ী থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আমাদের ওসি স্যার সব সময় এই থানার সাধারণ জনগণ আমাদের দ্বারা কোন প্রকার হয়রানি না হয় সেই নির্দেশনা সবসময় দিয়ে থাকেন।      
তিনি আরও বলেন,স্যারের এমন অসংখ্য সৃজনশীল নির্দেশনা তৈরি করে অধীনস্থ অফিসারদের নিয়ে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে উপজেলাবাসীর কল্যাণে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাওয়া সুপার হিরো আমাদের অভিভাবক  ওসি বছির আহামেদ বাদল  । স্যারের নির্দেশনা পালনে সব সময়ই প্রস্তুত। তার অনুপ্রেরণাই কাজের প্রতি কমিটেড করে দেয় আমাদেরকে।
ওসি বছির আহামেদ বাদল সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আইনের সেবক হয়ে জনতার সাড়িতে থেকে সাধারণ মানুষের সেবা করে যাবো, প্রতিটি মানুষ আমাকে খুব কাছ থেকে পাবে এবং তাদের সমস্যার কথা গুলি বলতে পারবে এটাই ছিলো আমার লক্ষ্য। কতটুকু পেরেছি তা নালিতাবাড়ী সাধারণ মানুষ দেখেছে।        
একজন সাধারণ মানুষ যখন আইনের সেবকদের কাছে ন্যায় বিচার পাবে ঠিক তখনি মানুষের মাঝে পুলিশের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস জেগে উঠবে। আমি মনে করি সাধারণ মানুষ যখন আমাদের কাছে আসতে পারবে ঠিক তখনি তারা অন্ধকার জীবন থেকে আলোর পথে ফিরে আসবে, একজন পুলিশের কাছে সেটাও সম্ভব একজন অপরাধি কে ঘৃণার দৃষ্টিতে না দেখে আইনের মাধ্যমে তাকে ভালোবাসার দৃষ্টিতে দেখে আলোর পথে নিয়ে আসা। আমরা চেষ্টা করতে পারি তাকে ভালো করার সুযোগ দেয়ার। আপনারা আমাদের সাহায্য করুন আমরা সত্যিই মানুষের স্বপ্নের পুলিশ হতে চাই।
এসময় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ২০৪১ সালে আমরা যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি সে উন্নত বাংলাদেশের আমরাই হবো মানবিক পুলিশ।