নালিতাবাড়ী

টিসিবির কার্ড বিতরণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগের পাহাড় জনপ্রতিনিধিদের উপর

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ২৯ মার্চ ২০২২ , ১১:৩৮ পিএম অনলাইন সংস্করণ

টিসিবির কার্ড বিতরণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগের পাহাড় জনপ্রতিনিধিদের উপর

টিসিবির কার্ড নিয়ে অনিয়মের অভিযোগের পাহাড় জনপ্রতিনিধিদের উপর।  

 
শাহাদত তালুকদার স্টাফ রিপোর্টারঃ   
ইংরেজ শাসন-শোষণ বিদায় হলো; এলো পাকিস্তান শাসন। পাকিস্তান শাসন বিদায়; স্বাধীন হলো বাংলাদেশ। আমাদের এই স্বাধীন বাংলাদেশে ওরা কারা, যারা টিসিবির কার্ড দিতে টাকা খায়? যারা টিসিবির কার্ড দিতে অনিয়ম করে? 
আজ আমাদের এই স্বাধীন দেশে  টিসিবির কার্ড নিতে ঘুষ দিতে হয়। সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর দেখা যায়, ‘কার্ড নিতে দিতে হলো টাকা।
 এমন ঘটনা সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ,   পৌরসভা গুলোতে অভিযোগের পাহাড় । 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশের মানুষের জন্য দিনরাত কাজ করে দেশ কে আজ বিশ্বের বুকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। আজ বাংলাদেশ উন্নত স্থানে রয়েছে বিশ্বের বুকে এটা মানতে নেই বাধা। 
কিন্তু দেখা যাচ্ছে                       
আমার সোনার দেশের চেয়ারম্যান-মেম্বার, রাজনীতিবিদরা, শতভাগ সৎ, বুকে হাত দিয়ে এ কথা বলতে পারলে দুর্নীতির তালিকায় বাংলাদেশের নাম কোনো দিনও আসত না।
 টপ-টু-বটম জনপ্রতিনিধিরা সৎ হলে, রাষ্ট্রের নানা পর্যায়ের চাকররা ঘুষ খাওয়ার সাহস করত না।
করোনাকালে বাংলাদেশে গরিব মানুষের সংখ্যা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। মানুষের আয় কমে গেছে, ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে, বিপরীতে পণ্যমূল্য বেড়েছে। এ কারণে টিসিবির বিক্রেতা কেন্দ্রে তপ্ত দুপুরের কড়া রোদে লম্বা লাইনের মধ্যে ষাটোর্ধ্বদেরও দেখা যায়। 
এক শ্রেণীর মানুষের কাছে টাকা যেন কোন ব্যাপার নয়। আবার আরেক শ্রেণীর মানুষের কাছে হিমশিম জীবন যাপন যাচ্ছে প্রতিটি মুহূর্ত। বেশির ভাগ মধ্যবিত্ত পরিবারের এমন হচ্ছে।           
বর্তমানে পুঁজি পতিদের হাতে টাকার গুদাম, সাধারণ মধ্যবিত্ত ও গরিব জনগণ টিসিবিক ট্রাকের ফাইটার ফলোয়ার। 
 দেশের জন্য মেগা প্রকল্প জরুরি, কিন্তু জনগণকে বেঁচে রেখে। যে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে, যে দেশে সরকার মধ্যবিত্ত  হতদরিদ্র কথা চিন্তা করে টিসিবির কার্ড ব্যবস্থা করে দিয়েছে সে দেশে এই সময়ে এটা নিয়েও কেনো এতো অনিয়ম। 
এছাড়া এক পরিবারের একাধিক ব্যক্তির কাছে এবং অপেক্ষাকৃত সচ্ছল পরিবারকে কার্ড বিতরণের মতো গুরুতর অনিয়মের অভিযোগও গণমাধ্যমে এসেছে। ফলে দরিদ্র ও নিম্নআয়ের অনেক মানুষের বঞ্চিত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এসব ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের বক্তব্য, কার্ড তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা তাদের অনুসারী ও পছন্দের লোকদের কার্ড দিয়েছেন।
এই অনিয়মের সাথে যুক্ত রয়েছে শেরপুরের নকলা-নালিতাবাড়ী। নানা অভিযোগ উঠেছে কার্ড বিতরণে। জনপ্রতিনিধিদের কাছে যেমনটা প্রত্যাশা ছিলো সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সাধারণ জনগনের। তা দেখা মিলেনি প্রাপ্ত ব্যক্তিদের। দু একটা ইউনিয়নের মধ্যে স্বচ্ছতা  থাকলেও বাকি ইউনিয়ন গুলোতেই অনিয়মের অভিযোগ।  এ বিষয়ে স্থানীয় সাংসদ এর প্রতিনিধিরা জানান,আমাদের স্থানীয় সাংসদ বাংলাদেশে শুধু না সারা বিশ্বে সততার প্রতীক। তিনি সব সময় আমাদের কে  নির্দেশনার দিয়ে থাকেন সঠিক ভাবে সরকারের  নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার।  আমাদের হাতে যে উন্নায়ন মূলক কার্যক্রম আসে আমরা অবশ্যই সততার সাথে করে থাকি,কিন্ত আপনারা অবগত আছেন বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধি অন্য দলের বা স্বতন্ত্র থেকে  এসেছে। তাদের দ্বায়িত্ব ত আমরা নিতে পারি না। তারপরও আমাদের সাংসদ বিষয় গুলো নজরে নিতে বলেছে। আমরা অব্যশই চেষ্টা করবো এরপর থেকে ন্যায্য ব্যক্তিরা যেন সরকারের সুবিধা ভোগ করতে পারে  ।                               
           
বিভিন্ন সুশীল সমাজ মতামত দিয়ে থাকেন দেখা গেছে, ব্যক্তি নির্বাচনের ক্ষেত্রে তার প্রকৃত অবস্থার চেয়ে রাজনৈতিক বিবেচনা, পছন্দের ব্যক্তি বা কর্তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কই প্রাধান্য পেয়েছে। ফলে বহু ক্ষেত্রে অভাবী মানুষের পরিবর্তে সহায়তা পেয়েছেন সচ্ছল ব্যক্তিরা। এই সূত্রে বলা দরকার, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সামাজিক ব্যাধির নাম দুর্নীতি। সরকারের অনেক ভালো কাজ ও উৎকৃষ্ট উদ্যোগ শুধু দুর্নীতিগ্রস্ত আমলা ও জনপ্রতিনিধি,  রাজনীতিক নেতাদের কারণে ভেস্তে যায়। এবারের জনকল্যাণের উদ্যোগও না আবার তাদের কারণে লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়। কারণ, সামাজিক সুরক্ষামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতা ভালো নয়। যে উদ্দেশ্যে সরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য এসব সুবিধা চালু করে, সেই উদ্দেশ্যই ব্যাহত হয়। লাভবান হয় স্বার্থান্বেষী মহল। তাই এ উদ্যোগেও প্রকৃত জনগোষ্ঠী এই সুবিধা পাবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। 
যেসব ক্ষেত্রে অনিয়ম ঘটছে, প্রশাসন তা তদারকি করবে। একটি পরিবারে দুটি কার্ড পাওয়া কিংবা প্রকৃত দরিদ্র পরিবারের কেউই কার্ড পাবে না- উভয়ই অন্যায়। কার্ড নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিক্রয় কেন্দ্রে  দাঁড়িয়ে থাকার বিষয়টিও কাম্য নয়। আরেকটি সমস্যা হলো গ্রামে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মোটামুটি সবাইকে চিনলেও শহরাঞ্চলের জনপ্রতিনিধিরা অনেককে চেনেন না। শহরের গরিব ও সীমিত আয়ের বাসিন্দাদের একাংশ সেখানকার ভোটার নন। তারা গ্রামেই ভোটার হয়েছেন। তাদেরও কার্ডের আওতায় আনতে হবে। সরকার আগামী রমজানে নিত্যপণ্যের মূল্য সংকট লাগবে এক কোটি পরিবারকে রেশন কার্ডের মাধ্যমে দু’বার টিসিবির সাশ্রয়ী মূল্যে খাদ্যপণ্য বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগটি অবশ্যই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। নিঃসন্দেহে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ উন্নয়নের পেছনে সরকারের অবদান আছে। ফ্যামিলি কার্ড কর্মসূচিকে অনেকে মানবিক উদ্যোগ বলে অভিহিত করেছেন, যা যথার্থ বলেই মনে হয়।