নালিতাবাড়ী

ইউপি নির্বাচনে নৌকার যুদ্ধে পিতা-পুত্র

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ১৮ জুন ২০২২ , ১১:৫৬ এএম অনলাইন সংস্করণ

ইউপি নির্বাচনে নৌকার যুদ্ধে পিতা-পুত্র



ইউপি নির্বাচনে নৌকার যুদ্ধে পিতা-পুত্র 

শেরপুর (নালিতাবাড়ী) প্রতিনিধি:
শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন রামচন্দ্রকুড়া মন্ডলিয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকার দলীয় মনোনয়ন কিনেছেন পিতা-পুত্র।
 ১৭ জুন-২২ দুপুর ১২.৩০ মিনিটে শেরপুরের নালিতাবাড়ী থানা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দীর্ঘদিনের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান নূর ইসলাম মাষ্টার, সাবেক চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকা, যুবলীগের সাবেক যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও থানা যুবলীগের সদস্য হাফিজুল ইসলাম জুয়েল, ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি আর্মি আয়নাল ও শাহ পরান।
এদিকে পিতা সাবেক চেয়ারম্যান নূর ইসলাম মাষ্টার ও পুত্র হাফিজুল ইসলাম জুয়েল একই ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন চাওয়ায় টক অব দ্য টাউন “রামচন্দ্রকুড়ায় ভোটের খেলা, নৌকার যুদ্ধে বাপ-পুলা”
পিতা-পুত্র একই সাথে কেন দলীয় মনোনয়ন চাইলেন? প্রশ্নের জবাবে – নূর ইসলাম মাষ্টার বলেন, দেখেন আমি ছাত্রলীগ মনোনীত গৌরিপুর কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি নির্বাচিত হই এবং তৎকালীন সময়ে স্বৈরশাসক এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ময়মনসিংহের উত্তাল রাজপথে নেতৃত্ব দিয়েছি। রামচন্দ্রকুড়া মন্ডলিয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৩৫ বছর যাবৎ সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি।
 ১৯৯৮ সালে এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হই। অদ্যাবধি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যায়নি। পিতা মুজিবের আদর্শিক কর্মী হিসেবে সারা বাংলার অভিভাবক শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপোষহীন জীবন যাপন করে যাচ্ছি। আমি পেশায় একজন শিক্ষক হওয়ার দরুন পরবর্তীতে আর কোন নির্বাচনে আসিনি আবার আমার বড় ছেলে হাফিজুল ইসলাম জুয়েল পারিবারিক শিক্ষা হতেই মুজিবাদর্শের একজন কর্মী।
নালিতাবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। গত ইউপি ইলেকশনে তাকেই মনোনয়ন চাইতে বলেছিলাম আমি চাইনি। ভেবেছিলাম দলের প্রতি আমার ত্যাগ ও তার নিবেদিত কর্মের বিবেচনায় তাকেই দল মনোনীত করবে । সাধারণ মানুষের প্রচন্ড চাওয়া সত্ত্বেও জুয়েলকে নৌকা না দেওয়ায় ব্যাথিত হইনি। 
তিনি বলেন আমার সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ বাদশা এইবার নৌকা প্রতিক প্রাপ্ত হয় এবং আমরা তাকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত করি। আবেগ জড়ানো কন্ঠে তিনি আরো বলেন, তিনি এইভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন ভাবিনি। যার ফলে সৃষ্টি হইছে উপ-নির্বাচন, মহান আল্লাহ তাকে জান্নাত বাসী করুন। 
 যেহেতু গতবার জুয়েলকে মনোনয়ন দেওয়া হইনি এইবারও নাও দিতে পারে সম্প্রতি এমন গুঞ্জন থেকেই পিতা-পুত্র এক সাথেই মনোনয়ন চাইছি বলে জানান নূর ইসলাম মাষ্টার।
আপনাদের মনোনীত না করা হলে বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন প্রশ্নই আসেনা, কোনদিন শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের বাইরে যায়নি যাবোও নাহ। তবে আমি আশাবাদি দল আমাদের মূল্যায়ন করবে। এবং অন্যান্য প্রার্থীদের কেউই দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবে না।
তবে পিতা-পুত্র এক সাথে মনোনয়ন চাওয়ায় এলাকা জুড়ে বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।