নকলা

এক টুকরো পাথর ও ইটের খোয়া যেন সোনার হরিণের মতো দামি

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৩:০৬ পিএম অনলাইন সংস্করণ

এক টুকরো পাথর ও ইটের খোয়া যেন সোনার হরিণের মতো দামি



এক টুকরো পাথর ও ইটের খোয়া যেন সোনার হরিণের মতো দামি 
নকলা উপজেলা প্রতিনিধি:- হাসান মিয়া 
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি। আর এটির প্রমাণ যেন প্রতিনিয়ত আমাদের চোখে পড়ে ।
জীবিকা নির্বাহের জন্য মানুষ খুঁজে নেন বিভিন্ন ধরনের পেশা । কেউ বা খুঁজে নেন একবেলা খেয়ে কোনোমতে জীবনটা টিকিয়ে রাখার।এমনি কিছু লোকের সন্ধান পাওয়া যায় শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় ।
সকাল থেকেই চৌধুরী ছবরুন নেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের সামনে; শেরপুর থেকে ময়মনসিংহ সড়ক উন্নয়নের কাজ শেষে ঠিকাদারের ফেলে আসা মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা ইটের খোয়া আর পাথরের টুকরো কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করে শিশু থেকে শুরু করে তরুণ তরুণী ও বৃদ্ধা পর্যন্ত।
পাথরের মাঝেই লুকিয়ে আছে ওদের স্বপ্ন।যেন এক টুকরো ইটের খোয়ার সন্ধান পাওয়াতে তাদের কাছে মহামূল্যবান সম্পদ মনে হয় , ফুটে উঠে মুখে হাসির ঝিলিক।আর এই খোয়া ও পাথরের টুকরা খুঁজতে তাদের ব্যবহার করতে হয় সাবল ,কুদাল ।
ভোর থেকে বিকাল পর্যন্ত এভাবে পাথর কুড়িয়ে বিক্রি করে তাদের সংসারের চাকা ঘুরে।ইটের খোয়া আর পাথরের টুকরো কুড়িয়ে তাদের দৈনিক আয় ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এই সময়ে সামান্য আয় দিয়ে এমন পরিবারের সংসার চালানো কষ্টকর তবুও এ টাকা দিয়েই চলে সংসার; ছেলেমেয়ের পড়াশোনাসহ আনুষঙ্গিক খরচ। দিনভর পাথর সংগ্রহ আর বোঝাইয়ের পরও তাদের চোখে-মুখে কোনো ক্লান্তির ছাপ নেই।
ইট পাথর সংগ্রহ করতে আসা পারুলী বেগম জানান,ইট পাথর সংগ্রহে সাবল কুদাল ব্যবহার করি, সারাদিন খাইটা কোনোদিন ৩০০আবার কোনোদিন ৫০০ টেহা বেচি।সাবল দিয়া খুঁড়তে গিয়া হাতে ঠুয়া পইরা গেছে । জীবন এহন ইট পাথরের মত শক্ত হইয়া গেছে!!
তিনি আরো বলেন স্থানীয় লোকজন এসব ইটের খোয়া আর পাথর কিনে নেয়।