নালিতাবাড়ী

স্বজনপ্রীতি করে বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল:অভিযোগ উঠেছে,প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফল স্থগিত।

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ১ মার্চ ২০২৩ , ৪:৪২ পিএম অনলাইন সংস্করণ

স্বজনপ্রীতি করে বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল:অভিযোগ উঠেছে,প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফল স্থগিত।



স্বজনপ্রীতি করে বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল:অভিযোগ উঠেছে,ভুলের কারণে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফল স্থগিত
 
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফলে ভুলভ্রান্তির ঘটনা ঘটেছে। ‘কোড’–সংক্রান্ত ভুলের কারণে এ ঘটনা ঘটে। এ কারণে দুপুরে ফল প্রকাশের পর সন্ধ্যায় তা স্থগিত করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। সংশোধন করে তা আবার প্রকাশ করা হবে।
রেজাল্ট প্রকাশের পর এ নিয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক অভিবাবকদের মধ্যে নানা গুঞ্জন সমালোচনা শুরু হয়ে যায় মুহূর্তের মধ্যে । অনেকেই পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ না করেও নামের তালিকায় রয়ে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।ফেসবুকে পোস্ট করে যেমন অভিনন্দন তেমন সমালোচনা করে পোস্ট করতেও দেখা গেছে।এর পর একটা সময় স্থগিত এর ঘোষণার পর বুঝতে পারে সমস্যা কোথাও হয়েছে।
এ নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় অবিভাবকদের মধ্যে কেউ বলছেন স্থানীয় শিক্ষকদের স্বজনপ্রীতি বা নিজ প্রতিষ্ঠানের সুনাম অর্জনের জন্য এমন অনিয়ম করেছে। কিন্তু উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক নেতা  ফরিদ আহমদ স্বাধীন বাংলা নিউজ 24.com-কে বলেন যে অভিযোগ গুলো উঠেছে একদম মনগড়া – যদি তাই হতো তাহলে আমার সন্তান পরিক্ষা দিয়েছিল তার নাম রেজাল্টের তালিকায় থাকত। এটা সারা বাংলাদেশ হয়েছে। কোথায় সমস্যা তা সরকার দেখার জন্য তদন্ত কমিটি করেছে , অপেক্ষা করেন জানতে পারবেন।                            
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ‘কোডিং’– সংক্রান্ত ভুলের কারণে এক উপজেলার সঙ্গে আরেক উপজেলার বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী বাছাই বিঘ্নিত হয়েছে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ সিস্টেম অ্যানালিষ্ট অনুজ কুমার রায় বলেন, অল্প কিছু ভুল হয়েছিল।
এখন সংশোধনের কাজ চলছে।
এর আগে দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফল প্রকাশ করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২২ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় মোট ৮২ হাজার ৩৮৩ শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। এর মধ্যে মেধা কোটায় বৃত্তি পেয়েছে ৩৩ হাজার জন ও সাধারণ কোটায় ৪৯ হাজার ৩৮৩ জন।
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা। এতে একেকটি বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়। বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের প্রতিটিতে ২৫ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে এই পরীক্ষা হয়।
করোনার পাশাপাশি গত জানুয়ারি থেকে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রমের বিষয়টি মাথায় রেখে গত তিন বছর পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। আগামী দিনেও আর এই পরীক্ষা হচ্ছে না বলেই জানিয়ে আসছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারকেরা। কিন্তু গত ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় আকস্মিকভাবেই এ বছর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
যদিও শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলে আসছিলেন, বছরের শেষে এসে হঠাৎ প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া একদিকে শিক্ষার্থীদের জন্য যেমন ক্ষতিকর বিষয় হবে, তেমনি নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে ভবিষ্যৎ শিক্ষাব্যবস্থায় যে পরিবর্তন আসছে, তার জন্যও নেতিবাচক হবে। তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে।