বাংলাদেশ

শেরপুরের তুলশীমালা চালসহ জিআই সনদ পাচ্ছে শীতলপাটি দই ও দুই জাতের আম

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ২৬ এপ্রিল ২০২৩ , ৫:৫৫ পিএম অনলাইন সংস্করণ

শেরপুরের তুলশীমালা চালসহ জিআই সনদ পাচ্ছে শীতলপাটি দই ও দুই জাতের আম



শেরপুরের তুলশীমালা চালসহ জিআই সনদ পাচ্ছে শীতলপাটি দই ও দুই জাতের আম
আগামী দুই মাসের মধ্যে দেশের আরও পাঁচটি পণ্য এই তালিকায় যুক্ত হতে পারে। এ ছাড়া সাতটি পণ্য যাচাই-বাছাই তালিকায় রয়েছে।বাংলাদেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া ও মানুষের সৃজনশীলতা মিলে উৎপাদিত ১১টি পণ্য এ পর্যন্ত ভৌগোলিক নির্দেশক (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন বা জিআই) স্বীকৃতি পেয়েছে।
আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ববিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড প্রপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) নীতিমালা অনুসারে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) বাংলাদেশের পণ্যের ক্ষেত্রে এই স্বীকৃতি ও সনদ প্রদান করে। যারা জিআইয়ের জন্য আবেদন করেন, তাঁদের দেওয়া হয় মেধাস্বত্ব। চাইলেই জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়া যায় না। বেশ কিছু প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হয়। আবেদনকারী কর্তৃপক্ষ বা ব্যক্তিকে কাঙ্ক্ষিত পণ্যটি যে মৌলিকভাবে শুধু বাংলাদেশেই হয়, তার প্রমাণ দিতে হয়। ডিপিডিটির একটি কমিটি তা মূল্যায়ন করে স্বীকৃতি দেয়। এর পর সংস্থাটির জার্নালে তা প্রকাশ করা হয়। যদি কেউ এ পণ্য নিয়ে আপত্তি না তোলে তাহলে সনদ দেওয়া হয়।  
ডিপিডিটি সূত্র জানায়, বগুড়ার দই ও দেশের শীতলপাটি, শেরপুরের তুলসীমালা ধান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম- এই পাঁচটি পণ্যের জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে আবেদনকারীরা প্রায় সব ধরনের তথ্য-উপাত্ত দিয়েছেন। এসব তথ্য এরই মধ্যে জার্নালে প্রকাশ পেয়েছে। 
এ বিষয়ে কারও আপত্তি না থাকলে দুই মাসের মধ্যে এসব পণ্যের চূড়ান্ত জিআই মর্যাদা দেওয়া হবে। বাকি সাতটি পণ্যের সবগুলো জিআই মর্যাদা পাবে কিনা, তা আবেদনকারীদের দেওয়া তথ্য-উপাত্ত, যুক্তি ও অন্য কেউ আপত্তি করে কিনা তার ওপর নির্ভর করছে।