জামালপুর

মাদারগঞ্জে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি’র প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ১৯ জুন ২০২৩ , ১:৪৩ পিএম অনলাইন সংস্করণ

মাদারগঞ্জে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি’র প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন



মাদারগঞ্জে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি’র প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
মাদারগঞ্জ প্রতিনিধি
জামালপুরের মাদারগঞ্জে পলিশা উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে চড়-থাপ্পড় শিরোনামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা। 
মাদারগঞ্জ উপজেলার পলিশা উচ্চবিদ্যালয়ের রাস্তা সংস্কারকে কেন্দ্র করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কর্তৃক মিথ্যা তথ্যদিয়ে সংবাদ প্রকাশ ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে শনিবার বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগীরা। তারা লিখিত অভিযোগ করে বলেন আমি/আমরা জাহাঙ্গীর আলম জলিল, পিতা-মৃত ফজলুর রহমান, গ্রাম-বাজিতেরপাড়া এবং আতাউর রহমান, পিতা-মৃত আবদুল জলিল মন্ডল গ্রাম গজারিয়া উপজেলা মাদারগঞ্জ, জেলা জামালপুর। আমরা দুজনেই পলিশা উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য। গত ১৪/০৬/২৩ ইং তারিখ রোজ বুধবার বিকাল ৫টায় লোক মারফতে জানতে পাই বিদ্যালয়ে যাতায়াতের রাস্তায় ৬ জন শ্রমিক মাটি ফেলতেছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজহারুল ইসলাম বিএসসি সাহেবের কাছে গেলে তিনি বলেন মাটিকাটার বিষয়টি আমি জানিনা তোমরা বিদ্যালয়ে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখো যদি মাটি কাটতে দেখা যায় তাহলে মাটি কাটা আপাতত বন্ধ করে দাও। মিটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে মাটি কাটা হবে। সভাপতি সাহেবের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে গিয়ে মাটিকাটা শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করাবস্থায় অত্র বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সামিউল ইসলাম বিএসসি বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করতে করতে আমাদের দিকে দৌড়ে আসে এবং তিনি আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমি আমি যা বলব তাই হবে এবং আমি যা ইচ্ছে তাই করবো এখানে তদের নাক গলানোর কোন অধিকার নেই। তোদের এখানে কে ডাকছে কে পাঠাইছে বলে চিল্লাতে থাকে। তখন আমি (বাদল) বলি এই তুমি কি আমাকে চিনোনা? আমি এই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য। আমি এ কথা বলা মাত্রই আমাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। আমি (জাহাঙ্গীর) তখন  ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সামিউল ইসলাম কে বলি এই তুমি এটা কি করলে? সে ম্যানেজিং কমিটির অভিভাক সদস্য তার গায়ে হাত দেওয়া তোমার মোটেও উচিৎ হলনা। ইতি মধ্য আশপাশের লোকজন ও বহিরাগত শিক্ষার্থীরা এসে সামিউল ইসলামকে ও আমাদেরকে আলাদা করে দেয় এবং আমরা চলে আসি। এমত অবস্থায় আমাদেরকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সামিউল ইসলাম বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের ডেকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পলিশা উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে চড়-থাপ্পড় শিরোনামে সংবাদ  প্রকাশ করায় ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এরই প্রতিবাদে আমাদের এই সংবাদ সম্মেলন। 
উপরিউক্ত বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।