বাংলাদেশ

সাংবাদিক ইকবাল মনোয়ারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে ক্যাম্পাস প্রতিনিধিদের মানববন্ধন

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ৮ অগাস্ট ২০২৩ , ৬:২৪ পিএম অনলাইন সংস্করণ

সাংবাদিক ইকবাল মনোয়ারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে ক্যাম্পাস প্রতিনিধিদের মানববন্ধন



“সাংবাদিক ইকবাল মনোয়ারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে পুরাতন ঢাকার ক্যাম্পাস প্রতিনিধিদের মানববন্ধন কর্মসূচী”
নিজস্ব প্রতিবেদক 
গত ২ আগস্ট একটি সংবাদ প্রকাশের জেরে বহিষ্কার করা হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইকবাল মনোয়ারকে। ৩১ শে জুলাই উপাচার্যের বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করাতে ২ আগস্ট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির অর্থ সম্পাদক এবং যায়যায়দিনের প্রতিনিধি ইকবাল মনোয়ারকে বহিষ্কার করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরই প্রতিবাদে আজ পুরাতন ঢাকার ক্যাম্পাস প্রতিনিধিরা মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন।
এ প্রসঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির অর্থ সম্পাদক মো. ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের অন্তর্নিহিত কারণ হল ভিসি আব্দুল মঈনের দুর্নীতির পক্ষে সাফাই গাওয়ার সংবাদ করায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।অবিলম্বে ইকবাল মনোয়ারের ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিতে হবে।। 
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইয়াছিন মোল্লা বলেন, আপনারা জানেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.এ এফ এম, আব্দুল মঈন, গত ৩১ জুলাই একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন দূর্নীতি হচ্ছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। যা একটি বিতর্কিত বক্তব্য এই বিতর্কিত বক্তব্যটি দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকা তুলে ধরেছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির অর্থ সম্পাদক ও দৈনিক যায়যায়দিনের প্রতিনিধি ইকবাল মনোয়ার। আমি বলতে চাই এই বক্তব্যটিতে যদি কোনো ভুল তথ্য প্রকাশ করে থাকেন তাহলে উপাচার্য উক্ত মিডিয়া হাউজে প্রতিবাদ লিপি বা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করতে পারতো কিন্তু তিনি তা না করে সরাসরি তার বিরুদ্ধে বহিষ্কার আদেশ করেন যা ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে । আমি চাই অতি দ্রুত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ইকবাল মনোয়ারের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে তাঁর স্বাভাবিক শিক্ষা জীবন ফিরিয়ে দেওয়া হোক, পাশাপাশি ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হোক।
কবি নজরুল কলেজ সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিবেদক আতিক হাসান শুভ বলেন, মনোয়ার ইকবাল দীর্ঘদিন ধরেই ক্যাম্পাসে তার লেখনীর মাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা ও অনিয়মের সংবাদ তুলে ধরেছে। সম্প্রতি “দুর্নীতি হচ্ছে বলেই উন্নতি হচ্ছে” শীর্ষক যে প্রতিবেদন ইকবাল করেছে সেখানে যদি কোনো অসঙ্গতি থেকে থাকে তাহলে কুবি উপাচার্যের উচিত ছিল প্রতিবাদলিপি দেওয়া। এভাবে হুট করে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে একজন শিক্ষার্থীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সরাসরি বহিষ্কারাদেশ দেওয়া সুস্পষ্টভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ক্ষমতার অপব্যবহার। 
আমরা উপাচার্যের সেদিনের বক্তব্য অডিওতে স্পষ্ট শুনতে পেয়েছি দূর্নীতি নিয়ে যে বক্তব্য উনি দিয়েছেন প্রতিবেদনে তাই তুলে ধরা হয়েছে। সেই হিসেবে বলা যায়, এই বহিষ্কারাদেশের মাধ্যমে উপাচার্যের একান্ত ব্যক্তিগত আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। তিনি আরো বলেন, আমি উপাচার্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে বলতে চাই, অবিলম্বে ইকবাল মনোয়ারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে ক্যাম্পাসে তার স্বাভাবিক অবস্থান ফিরিয়ে দেন। আগামী সাত দিনের মধ্যে যদি বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে আমরা সামনে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দিব। 
উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কবি নজরুল কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সদস্যবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।