নালিতাবাড়ী

নালিতাবাড়ীতে বহিস্কৃত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ১৪ অগাস্ট ২০২৩ , ১২:১১ পিএম অনলাইন সংস্করণ

নালিতাবাড়ীতে বহিস্কৃত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ



নালিতাবাড়ীতে বহিস্কৃত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ
নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি: নালিতাবাড়ীতে মোঃ জিয়াউর রহমান নামে একজন বহিস্কৃত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছেন খলাভাংগা মকবুল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলী আকবর। অভিযোগের বিবরণে জানা যায় বহিস্কৃত শিক্ষক জিয়াউর রহমান বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই ছাত্রীদের সাথে কুরুচিপূর্ন অশালিন কথা বলতেন। এ বিষয়ে কয়েক বার ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক তাকে মৌখিক ভাবে সতর্ক করা হয়। কিন্তু অভিযুক্ত শিক্ষক এসবের তোয়াক্কা না করে গত ২০ জুলাই ২০১৯ তারিখে ঐ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পারি জমায়। অভিযুক্ত শিক্ষকের স্ত্রী ও ছেলেদের ভয়ে বাড়িতে না এসে বিভিন্ন জায়গায় আত্মীয়স্বজনদের বাড়ীতে শিক্ষার্থীকে নিয়ে অবস্থান করে। ২ মাস ১৫ দিন পর রাতের আধাঁরে শিক্ষার্থীকে তার বাবার বাড়ীর সামনে রেখে পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী উক্ত শিক্ষককে বহিস্কারের দাবী জানিয়ে শ্লোগান দেয়। পরবর্তীতে ম্যানেজিং কমিটি তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ময়মনসিংহে আপিল এন্ড আরবিট্রেশন বোর্ডে প্রেরণ করেন। এ বিষয়ে গত ১১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে সরেজমিনে তদন্ত করে তাকে চূড়ান্ত বহিস্কার করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র অভিযুক্ত শিক্ষক আক্রোশবশত: বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনুমান নির্ভর তথ্য সাজিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিতে শুরু করেন। সব শেষ গত ২৬ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে বিদ্যালয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে অনিয়মের তদন্ত চেয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দূর্নীতি দমন কমিশনে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি বিদ্যালয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মের কথা উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ আলী আকবরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান কে নৈতিক স্খলনজণিত কারণে বোর্ড বহিস্কার করেছে, এই আক্রোশ থেকেই সে মিথ্যা তথ্য ও কাগজপত্র তৈরী করে আমার ও বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ও ক্ষতি সাধনে লিপ্ত আছে। বর্তমানে সে শিক্ষক না তবুও বিভিন্ন অভিযোগে অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করে আসছে। এসব করে সে বিদ্যালয়ের অগ্রাযাত্রাকে ব্যাহত করতে চাচ্ছে, যা অপরাধের শামিল। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠ বিচার করেছি। তদন্তে হলে তার অভিযোগ ভুল প্রমাণিত হবে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।