শেরপুর

অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি পেলেন নালিতাবাড়ীর দুই সন্তান-এসপি ১জন

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ৮ নভেম্বর ২০২৩ , ৫:৩৭ পিএম অনলাইন সংস্করণ

অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি পেলেন নালিতাবাড়ীর দুই সন্তান-এসপি ১জন।

অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন নালিতাবাড়ীর ২ কৃতি সন্তান। এদের মাঝে একজন হলেন ফাতিহা ইয়াসমিন ডলি ও অন্যজন মোহাম্মদ খোরশেদ আলম পিপিএম- সেবা। নালিতাবাড়ীর আরেক সন্তান এডিশনাল এসপি থেকে এসপি হয়েছেন।

গত সোমবার ৬ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ মাহবুবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।

গত সোমবার থেকে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে পুরো নালিতাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন মহলে প্রশংসা এবং বইছে আনন্দ। এবং কি বিভিন্ন মহল থেকে এই প্রশংসনীয় নালিতাবাড়ীর দুই কৃতি সন্তানকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট দেওয়া হচ্ছে।


বর্তমানে ফাতিহা ইয়াসমিন ডলি পুলিশ অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এবং অন্যদিকে মোঃ খোরশেদ আলম সাইপ্রাসে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে পুলিশ সুপার পদমর্যাদায় কর্মরত রয়েছেন।


তথ্যমতে, জনাব ফাতিহা ইয়াসমিন ডলি শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়নের বরুয়াজানি গ্রামের ঐতিহ্যবাহী সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্য এবং এলাকর ধনাঢ্য ও সমাজসেবী আলহাজ্ব  আবুল মনসুর তালুকদার ও আলহাজ্ব সাহেরা খাতুনের ৩ ছেলে ও ৪ মেয়ের মাঝে সর্বকনিষ্ঠ।

বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেতা ও সাবেক কাকরকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মরহুম শহীদুল্লাহ্ তালুকদার মুকুল ছিলেন তার মেজোভাই। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়াশোনা শেষ করে ২৪-তম বিসিএসে পুলিশে যোগ দেন। তার স্বামী মোঃ রফিকুল ইসলাম একজন প্রকৌশলী। পারিবারিক জীবনে তাদের দুইজন ছেলে সন্তান রয়েছে। ডলি ২০১৭ সালের ১৪ই ডিসেম্বর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থেকে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সুপার হন। পরে চট্রগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার পদ থেকে ঝালকাঠির  পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দেন।

তিনি বাংলাদেশের উইমেন পুলিশ অ্যাওয়ার্ড ২০১৮ তে জাতিসংঘ মিশনে বিশেষ অবদান রাখায় ‘পিস কিপিং মিশন’ ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।
অন্যদিকে মোঃ খোরশেদ আলম শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের দক্ষিণ রাণীগাও এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলী ও খোদেজা বেগমের ৪ সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ সন্তান তিনি। ১৯৯২ সালে তিনি নালিতাবাড়ী তারাগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৯৪ সালে জামালপুর আশেক মাহমুদ কলেজ হতে এইচএসসি, ১৯৯৮ সালে ময়মনসিংহ নাসিরাবাদ কলেজ থেকে স্নাতক ও ২০০১ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যাল থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স পাস করেন। তিনি ২৪তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে যোগদান করেন। প্রথমে সহাকারী পুলিশ সুপার হিসেবে রাজশাহী র‍্যাবে, পরে একই পদে নওগাঁ জেলা পুলিশে কর্মরত ছিলেন। এরপর তিনি পুলিশ হ্যাডকোয়ার্টারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা উত্তরে পুলিশ সুপার হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্বপালন করেন। এবং সেখান থেকেই জাতিসংঘ মিশনে যান।


এই দিকে রাজননগর ইউনিয়নের চাঁদগাও গ্রামের মো:আব্দুল কাইয়ুম মিয়ার বড় ছেলে সম্রাট মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান এডিশনাল এসপি থেকে পদোন্নতি পেয়ে এসপি হয়েছেন। তিনি বর্তমানে আফ্রিকাতে রয়েছেন।