ময়মনসিংহ

‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হওয়ায় ১৯ জনকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ১৫ নভেম্বর ২০২১ , ৩:৩৫ এএম অনলাইন সংস্করণ

‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হওয়ায় ১৯ জনকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার

 ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় আওয়ামী লীগের ১৯ জন নেতা-কর্মীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে উপজেলা আওয়ামী লীগ জরুরি সভা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা চন্দন বিশ্বাস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি শনিবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে বলেন, দলের সিদ্ধান্ত না মেনে বহিষ্কার হওয়া এসব নেতা-কর্মী বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। তাঁদের এর আগে নির্বাচনে অংশ না নিতে বেশ কয়েকবার অনুরোধ করা হয়েছিল। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাঁদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

২৮ নভেম্বর কলমাকান্দার আটটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ৩৬ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বহিষ্কার হওয়া নেতারা হলেন কলমাকান্দা ইউপিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল আলী বিশ্বাস ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য মো. গোলাম হোসেন; নাজিরপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য রাজু আহমেদ; পোগলা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ কর্মী রাসেল মিয়া, ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী রতন মিয়া, মোজাম্মেল আলম খান ও শান্তু মিয়া; বড়খাপনে ইউপিতে আওয়ামী লীগের কর্মী মো. শফিকুল ইসলাম ও মৃদুল রায় তালুকদার।

তালিকায় আরও আছেন খারনৈ ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. চান মিয়া দেওয়ানি; কৈলাটি ইউপিতে আওয়ামী লীগ কর্মী রইছ উদ্দিন ও যুবলীগ নেতা আজিজুর রহমান। রংছাতি ইউপিতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আফতাব উদ্দিন, কলমাকান্দা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আল মামুন, সাবেক ওয়ার্ড সভাপতি সুরুজ মিয়া, দলীয় কর্মী মীর আইয়ুব নবী ও আবদুর রাজ্জাক।

তবে সাময়িক বহিষ্কার হওয়া একাধিক নেতা–কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা এখনো বহিষ্কারের কোনো চিঠি পাননি। বিষয়টি শুনেছেন। নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘আমি ছোট থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দল করি মানুষের জন্য। তাঁদের সুখে–দুঃখে পাশে থাকার জন্য। গত ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে জনগণের চাপে প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়েছি। এবারও তাঁদের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি।’