নালিতাবাড়ী

নালিতাবাড়ীতে ১০ জন জাতীয়করণ শিক্ষককের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ২৫ মে ২০২২ , ১২:২৭ এএম অনলাইন সংস্করণ

নালিতাবাড়ীতে ১০ জন জাতীয়করণ শিক্ষককের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা

নালিতাবাড়ীতে ১০ জন জাতীয়করণ শিক্ষককের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নব জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ জন সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে অসদাচরনের দায়ে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ পত্র থেকে জানা গেছে অভিযুক্ত শিক্ষকরা ভুয়া সিএড সনদ দাখিল করে প্রশিক্ষণ স্কেল গ্রহণ এবং সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
 
অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন, ছাহেরা খাতুন,সহকারী শিক্ষক,গোপালপুর জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।লতিফা খাতুন, সহকারী শিক্ষক,গোপালপুর জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নিলুফা ইয়াসমিন সহকারী শিক্ষক,গোপালপুর জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। মোঃ সাইদুর রহমান,সহকারী শিক্ষক,শেওড়াতলী জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আলেয়া পারভীন,সহকারী শিক্ষক,দাওয়াকুড়া জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। চিত্ত মাধব সরকার,সহকারী শিক্ষক,মৌয়াকুড়া জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শামছুন নাহার,সহকারী শিক্ষক,দাওধারা কাটাবাড়ী জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। মোঃ মনোয়ার হোসেন,সহকারী শিক্ষক, পশ্চিম চাঁদগাও জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। মোঃ আবু সাইদ,সহকারী শিক্ষক,ভালুকাকুড়া জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মো শহিদুল ইসলাম,সহকারী শিক্ষক,খলাভাঙ্গা জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
 
গত ১৭ মে ২০২২ তারিখে ফেরদৌসী বেগম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার,শেরপুর এর স্বাক্ষরিত অভিযোগ নামা থেকে জানা গেছে অভিযুক্ত শিক্ষকরা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সি-এড প্রশিক্ষন পাশের সনদ প্রদান করে প্রশিক্ষন স্কেল গ্রহন করেন এবং জাতীয়করনের তারিখ হতে যে সি এড সনদ ব্যবহার করে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত স্কেলে আর্থিক সুবিধা গ্রহন করেছেন সে সনদটি সঠিক নয়।
তাঁরা অসুদপায় অবলম্বন করে বিধি বহির্ভূত ভাবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক হিসাবে আর্থিক সহ অন্যান্য সুবিধাদি ভোগ করেছেন, এবং তারাঁ দীর্ঘ দিন False সি এড সনদের তথ্য গোপন করে প্রশিক্ষন স্কেলে বেতন ভাতা গ্রহন করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। যা প্রতারনার সামিল। এতে শিক্ষক হিসাবে তাদের সততা ও নিষ্ঠার অভাব পরিলক্ষিত হয়। 
 
অভিযোগ পত্র থেকে আরো জানা গেছে তাঁরা ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুয়া সি এড সনদ ব্যবহার পূর্বক সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে দীর্ঘদিন পর প্রশিক্ষণ বিহীন স্কেলে বেতন পূণঃনির্ধারনের আবেদন করেন।
যেহেতু, তাঁরা False সি-এড সনদপত্র ব্যবহার করে অতিরিক্ত সরকারি অর্থ গ্রহন করেছেন যা সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ২(খ) ধারা মোতাবেক অসদাচরনের সামিল।
সেহেতু, তাদের এহেন কার্যকলাপের জন্য সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপীল) বিধিমালা ২০১৮ এর ২(খ) বিধি মোতাবেক অসমাচনের দায়ে অভিযুক্ত করা হলো এবং একই বিধিমালার ৪(৩) (খ) ধারা অনুযায়ী কেন তাদেরকে চাকুরী হতে(Dismisal From Service) বরখাস্ত করা হবে না অথবা একই ধারায় অন্য কোন শাস্তি প্রদান করা হবে না, তার লিখিত জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০(দশ)কার্য দিবসের মধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের দপ্তরে দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে এবং বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে। 
 
অভিযুক্ত শিক্ষকদের আত্মপক্ষ সমর্থনে ব্যক্তিগত শুনানী করতে চাইলে তা লিখিত জবাবে উল্লেখ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
 
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে,সনদ জালিয়াতির অভিযোগে ১০ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হলেও এখনো অনেকেই জাল সিএড  সনদ দিয়ে প্রশিক্ষণ স্কেলে বেতন গ্রহণ করছেন।তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।তবে শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে,বাকী জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।