জামালপুর

মাদারগঞ্জে মৃৎশিল্পের ৪০ জন কারিগরের মানবেতর জীবনযাপন, সরকারি সহযোগিতা চান তারা

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ১২ অক্টোবর ২০২৩ , ৯:৫৭ পিএম অনলাইন সংস্করণ

মাদারগঞ্জে মৃৎশিল্পের ৪০ জন কারিগরের মানবেতর জীবনযাপন, সরকারি সহযোগিতা চান তারা



মাদারগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি


জামালপুরের মাদারগঞ্জে মানবেতর জীবনযাপন করছে মৃৎশিল্পের ৪০ জন কারিগর। বুধবার বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা ও জানা যায় মাদারগঞ্জ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের পালপাড়ার মৃৎশিল্পের ৪০ জন কারিগর মানবেতর জীবনযাপন করছেন।মৃৎশিল্পের ব্যবহার বিগত দিনের মত আর না থাকায় হারিয়ে যেতে বসেছে এ শিল্প। মানবেতর জীবনযাপনের মধ্য দিয়ে মাটির শিল্প কে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে কারিগরা। এ শিল্পের কাজ করে পরিবার নিয়ে চলছে না তাদের সংসার। দুই জনকে দই এর খুটি ভেনগাড়ীতে তোলা অবস্থায় দেখা যায় সে গুলো গোডাউনে রাখবে বলে। দই এর খুটি বড় সাইজের টা ১ হাজার টাকা শ,প্রতি পিস ১০ টাকা,মাঝারি টা আটশত টাকা শ, প্রতি পিস ৮ টাকা এবং ছোট সাইজের টা ৬শ টাকা শ,প্রতি পিস ৬ টাকা, কাদা ৩০ টাকা পিস। মৃৎশিল্পের চাহিদা না থাকায় হতাশায় রয়েছে মাটির শিল্পের কারিগররা। এ অবস্থায় সরকারি সহযোগিতা চেয়েছেন মৃৎশিল্পের কারিগররা। সরকারি সহযোগিতা পেলে ঘুরে দাড়াতে পারে এ শিল্প। পৌর এলাকার পালপাড়ার মাটির শিল্পের কারিগর সুমিত্র চন্দ্র পাল,পবিত্র পাল বলেন আগে মাটির দাম কম ছিল বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে কম দামেই বিক্রি করেছি। সে সময় চাহিদাও বেশী ছিল আর বর্তমানে মাটির শিল্পের ব্যবহার নেই বললেই চলে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ শিল্পের ব্যবহার নেই ফলে আমরা এ শিল্পের কারিগররা মানবেতর জীবনযাপন করছি এবং পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চলছে না। এ শিল্প কে টিকিয়ে রাখতে সরকারি সহযোগিতা চাই আমরা। একই কথা বলেন এ শিল্পের কারিগর বিকাশ পাল, অতুল চন্দ্র পাল, শন্তুু পাল ও সূর্যনাথ পাল সহ অনেকে।

মাদারগঞ্জ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামরুল হাসান সোহেল বলেন পাল পাড়ায় মৃৎশিল্পের কারিগরদের মাঝে পৌরসভা থেকে বরাদ্দকৃত ভিজিএফ ও টিসিবি স্লিপ পৌছায়ে দেই। তাছাড়া এ শিল্পের উপর নির্ভর করে তাদের সংসার চলছে না বিধায় বিকল্প হিসেবে কেউ কেউ ভেনগাড়ী ও হোটেল ব্যাবসায় ঝুকছে।

মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইলিশায় রিছিল বলেন মৃৎশিল্প দীর্ঘদিন ধরে চলমান, এ শিল্পের ব্যবহার আগের মত আর নেই অনেকটাই কমে আসছে। দই এর খুটি ও ফুলের টপ ছাড়া অন্যান্য কিছুর ব্যবহার তেমনটা নেই। আমি অবশ্যই ওখানে গিয়ে তাদের সাথে ছিলাম কথা বলেছি। তাদের একটা প্লাটফর্মে নিয়ে আসতে হবে এবং মৃৎশিল্প কে টিকিয়ে রাখতে কারিগরদের জন্য বিকল্প কিছু করতে হবে।