নকলা

শেষ বয়সে একটু শান্তিতে ঘুমাতে চান নকলা উপজেলার আয়শা

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২ , ৭:২৪ পিএম অনলাইন সংস্করণ

শেষ বয়সে একটু শান্তিতে ঘুমাতে চান নকলা উপজেলার আয়শা



শেষ বয়সে একটু শান্তিতে ঘুমাতে চান আয়শা
নিজস্ব প্রতিনিধি :- হাসান মিয়া
(স্বাধীন বাংলা নিউজ 24)
শেরপুরের নকলা উপজেলাধীন ১ নং গনপদ্দী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আয়শা বেগম।বয়স প্রায় ৬০,স্বামী সন্তান কিছুই নেই,থাকেন ছোট্ট কাগজের তৈরি ঘরে। যেখানে নেই থাকার কোন আসবাবপত্র।ঝড়-বৃষ্টি হলে ঘরের ভিতরে আসে পানি, থাকতে পারেননা ভয়ে।
তার কাছ থেকে জানা যায়, সকাল আটটার পর থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে গণপদ্দী থেকে পায়ে হেঁটে নকলা শহরের শিল্প এলাকা হিসেবে খ্যাত জালালপুরের একটি রাইস মিলে ধান শুকানোর কাজ করতেন। যেখানে পারিশ্রমিক হিসেবে প্রতিদিন ‌১০০-১২০ টাকা পেতো। যখন কাজ থাকতো না তখন ইট ভাংতেন বা দুমুঠো ভাতের বিনিময়ে কাজ করতেন অন্যের বাড়িতে। তার এই জীবদ্দশায় স্থানীয় কোন জনপ্রতিনিধিরা তেমন সাহায্য করেনি বরং একটা বয়ঙ্ক ভাতা করার জন্য ধার-কর্য করে গুনতে হয়েছে তাকে তিন হাজার টাকা।
তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার আগে আমাকে ৫ শতাংশ জমি দিয়ে যায় আমি এখানেই কষ্ট করে কোনমতে চলছি, এখন আমি পাঁয়ে সমস্যার জন্য আগের মতো কাজ করতে পারি না বিধায় রাইস মিলে গেলে আমাকে এখন কাজে নিতে চায়না। আমি যদি সারাদিন কিছু খেয়ে শান্তিতে ভালো একটা ঘরের ভিতরে ঘুমাতে পারতাম তবে আমার শেষ বয়সের আশা পূরণ হতো।
এই বিষয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার স্থানীয় লোকজনদের কাছে জানা যায়, আয়েশা বেগম কোন রকমে কাগজের ঘর বানিয়ে বসবাস করেন। টাকার জন্য বসত ভিটায় মাটি কেটে উঁচুও করতে পারে না।তাই বর্ষা মৌসুমে বাড়িতে পানি উঠে।
আয়শা বেগমের মত গৃহহীন অসহায় মহিলা ঘর পায় না, অথচ যাদের সব আছে তারাই ঘর পায়। এমতাবস্থায় অসহায় আয়শা বেগম উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, নেতাকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নিকট একটা ঘর প্রাপ্তির জন্য আকুতি জানান।