শেরপুর

শেরপুরের শ্রীবরদীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ কেজি ওজনের ৮০বস্তা চাল জব্দ

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ২৩ অগাস্ট ২০২৩ , ৮:৫৬ পিএম অনলাইন সংস্করণ

শেরপুরের শ্রীবরদীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ কেজি ওজনের ৮০বস্তা চাল জব্দ



শেরপুরের শ্রীবরদীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ কেজি ওজনের ৮০বস্তা চাল জব্দ 

মিজানুর রহমান, (ঝিনাইগাতী) শেরপুর, 
শেরপুরের শ্রীবরদীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৮০ বস্তা চাল উদ্ধার হলেও অদৃশ্য কারনে দুই দিন পর আজ ২২ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে থানায় অভিযোগ করেছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা। দুই দিন পর ব্যবস্থা নেয়ায় এলাকায় এ নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ২০ আগস্ট রোববার বিকেলে অবৈধভাবে চাল মজুদের খবর পেয়ে উপজেলার তেনাচিরা ব্রীজের পাশে একটি দোকানে ওই চাল জব্দ করে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম মামুন । পরবর্তীতে জব্দকৃত চাল ওই দোকানের ভিতরে রেখেই তালা দিয়ে চলে আসে কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে গত সপ্তাহ থেকে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল বিতরণ করছেন ডিলাররা। এর মধ্যে গোসাইপুর ইউনিয়নের মাটিয়াকুড়ার গাবতলী বাজারে একটি দোকান থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ শুরু“ হয়। এর পাশে অবৈধভাবে বিক্রির উদ্যেশ্যে ৩০ কেজি করে ৮০ বস্তা চাল পার্শ্ববর্তী তেনাচিড়া ব্রীজের পাশে আরেকটি দোকানে মজুদ করা হয়। এ সংবাদ পেয়ে রোববার (২০ আগষ্ট) বিকালে শ্রীবরদী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম মামুন ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩০ কেজি ওজনের ৮০ বস্তা চাল জব্দ করেন। এসময় স্থানীয় ডিলার আমিনুল ইসলামের ভাতিজা ও মাটিয়াকুড়া গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে চাল ব্যবসায়ী ফারুক মিয়াকে দোকানের ভিতরেই পায় কর্মকর্তা। পরে কৌশলে পিছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করে সরকারি সিলযুক্ত চটের বস্তা খুলে অন্যত্র সরিয়ে নেয় তারা।
এ ব্যাপারে ডিলার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি নিয়ম মেনেই চাল বিতরণ করেছি। চাল ব্যবসায়ীরা চাল ক্রয় করে সেখানে মজুদ করেছে কি না তা আমি জানি না। এ ব্যপারে চাল ব্যবসায়ি ফারুক মিয়া বলেন, আমি গ্রাহকের কাছ থেকে চাল কিনে ব্যবসা করি।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম মামুন বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আলমগীর হোসেনের দোকান ঘরে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ৩০ কেজি ওজনের ৮০ বস্তা চাল জব্দ করেছি। এসব চাল অবৈধভাবে বিক্রির উদ্যেশে মজুদ করার দায়ে মাটিয়াকুড়া গ্রামের ফারুক মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তবে দুই দিন দেরির ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি ইউএনও স্যারকে জানিয়েই সব করেছি। গতকাল আমার উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ভিজিটে থাকায় আমার আইনগত ব্যবস্থা নিতে দেরি হয়েছে।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ­ব কুমার বিশ্বাস বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। মামলার প্রক্রিয়া চলমান আছে। পরবর্তীতে তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফতেখার ইউনুস বলেন, চাল আটকের খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। জব্দকৃত চাল যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।