শেরপুর

শেরপুরে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হলো দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ১১ নভেম্বর ২০২১ , ১:১৮ এএম অনলাইন সংস্করণ

শেরপুরে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হলো দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন

 

শেরপুরে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হলো দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন
হাফিজুর রহমান লাভলুঃ

দ্বিতীয় ধাপে শেরপুর সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। ১১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ওই ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়।
তবে প্রথমে ভালোভাবে ভোটগ্রহণ চললেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে আওয়ামী লীগ ও প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক এবং ইউপি সদস্য প্রার্থীদের সাথে থেমে থেমে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত: ২৫ জন। ওইসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুটি কেন্দ্রে ৩৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পুলিশ।



শুরুতে ভালোভাবে ভোটগ্রহণ চললেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১১টার পর থেকে চরশেরপুর ইউনিয়নের বামনেরচর, নাগপাড়া, লছমনপুরের হাতিআগলা, ঘিনাপাড়া, কামারিয়ার সূর্যদী, খুনুয়া, কামারচরের ৬নং চর, চরপক্ষীমারীর জঙ্গলদি, পাকুড়িয়ার চকপাড়া ও গণইভরুয়া পাড়া, ধলা ইউনিয়নের গারোভিটা কেন্দ্রে থেমে থেকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ওইসব ঘটনায় ইউপি সদস্য প্রার্থীসহ অন্তত: ২৫ জন আহত হয়েছে। ওইসময় হাতিআগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সংঘর্ষের সময় ৩০ রাউন্ড ও ঘিনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ রাউন্ড গুলি করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি ৫টি কেন্দ্রে কয়েক ঘন্টা ভোট স্থগিত রাখা হয়। এছাড়া দুটি কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হয়েছে।
জেলা নির্বাচন অফিস জানায়, এবারের নির্বাচনে ৪৩ জন চেয়ারম্যান, ৫৩৪ জন ইউপি সদস্য ও ১৯৬ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৫০টি ভোট কেন্দ্রের ৭৩৪টি ভোট কক্ষে ৩ লাখ ১৯ হাজার ৮৭৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। তবে কোন প্রতিদন্ধি না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিন ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যানরা জয়ী হয়েছেন।