শেরপুর

প্রথমবার রঙিন ফুলকপি চাষে বাম্পার ফলন-ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষক লিটন

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ , ৮:৫৪ পিএম অনলাইন সংস্করণ

প্রথমবার রঙিন ফুলকপি চাষে বাম্পার ফলন-ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষক লিটন



প্রথমবার রঙিন ফুলকপি চাষে বাম্পার ফলন-ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষক লিটন 
হাফিজুর রহমান লাভলু, শেরপুরঃ
শেরপুরের নকলা উপজেলার গনপদ্দী ইউনিয়নের গনপদ্দী পশ্চিমপাড়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদ(লিটন) নামে এক কৃষক প্রথমবার রঙিন ফুলকপি চাষ করে বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পেয়ে খুশি। তার এমন সফলতা দেখে রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরাও। রঙিন এ ফুলকপিতে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী ভিটামিন ছাড়াও রয়েছে ক্যারোটিন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট। 
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানান, দেখতে হলুদ ও বেগুনি রংয়ের ‘রঙিন’ ফুলকপির বাংলাদেশে চাষাবাদ শুরু হয় ২০২১ সালে। ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিরতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় প্রথমবার নন-ক্রিপার জাতীয় সবজি চাষ প্রদর্শনী মাঠে ‘উন্নত জাত ব্যবহার ও পরিবেশ বান্ধব কৌশল’ ব্যবহার প্রয়োগ করে উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে জামালপুর থেকে ২ হাজার চারা এনে ১৫ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করে চমক দেখিয়েছেন আবুল কালাম আজাদ (লিটন)।এদিকে নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।
কৃষক আবুল কালাম আজাদ (লিটন) জানান, ১৫ শতক জমিতে চারাসহ সব মিলে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার টাকা। চারা রোপনের ৭০ থেকে ৭৫ দিন পর বাগানে আসে রঙ্গিন ফুলকপি। বর্তমানে প্রায় ৮ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন। তার আশা বাগান থেকে প্রায় ৭০ হাজার টাকার মতো বিক্রি হবে পুষ্টিগুণে ভরপুর এই রঙ্গিন ফুলকপি। কৃষক আরও জানান, মজার ব্যাপার হলো রঙিন এসব ফুলকপি দেখতে প্রতিদিনই এলাকার কৃষকসহ সাধারণ মানুষ আমার জমিতে ভিড় করছেন। কেউ নিচ্ছেন চাষের পরামর্শ আবার কেউ কেউ তুলছেন ছবি। কেউবা আসছেন বাগানে রঙ্গিন কপি কিনতে। তাছাড়া বাজারে নেওয়া মাত্রই বিক্রি হয়ে যায় এসব রঙিন ফুলকপি।
রঙিন ফুলকপির ভালো ফলন দেখে আগামী বছর নিজেও চাষ করতে চান আরেক চাষি হল্টু মিয়া। তিনি বলেন, কৃষক আবুল কালাম আজাদ (লিটন) যখন রঙিন ফুলকপি চাষ করলেন তার ফলন কেমন হয় তা দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। শেষে দেখলাম, ফলন বেশ ভালোই হচ্ছে। আগামীবার আমিও অন্যান্য সবজির সাথে রঙিন ফুলকপি চাষ করব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, উপজেলার গনপদ্দী এলাকার কৃষক আবুল কালাম আজাদ (লিটন) শাকসবজি চাষে খুবই আগ্রহী। তিনি প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। তার দেখাদেখি স্থানীয় অনেক কৃষকই এখন রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আমরা কৃষকদের সবসময় নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে থাকি এবং পাশে সব সময় আছি। মাঠ কর্মকর্তারাও মাঠে গিয়ে নিয়িমিত পরামর্শ দিচ্ছেন। ফুলকপি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি সবজি। বিশেষ করে ফুলকপিতে ভিটামিন সি, ই, কে, ফলিক এসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। এটি ক্যানসার প্রতিরোধেও কাজ করে থাকে।