দেশজুড়ে

শেরপুরে নতুন জাতের আমন ধানের বীজ বিতরণ

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ২ এপ্রিল ২০২৪ , ৩:৩০ পিএম অনলাইন সংস্করণ

শেরপুরে নতুন জাতের আমন ধানের বীজ বিতরণ

মেহেদী হাসান শামীম, শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরে জেলা কৃষি বিভাগের আয়োজনে বিনা মূল্যে আমন ধানের নতুন জাত ‘ব্রি ধান-৯৮’ এর বীজ বিতরণ ও কৃষকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুর সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের লতারিয়া গ্রামের আউশ আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় ২ শত কৃষকের মাঝে এ ধানের বীজ বিতরণ উদ্বোধন করা  হয়। লতারিয়া গ্রামের কৃষক জানে আলম এর উঠানে এ বীজ বিতরণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি থেকে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা খামারবাড়ি মহাপরিচালক কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ এনায়েত উল্লাহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীর ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. সুকল্প দাস। এ সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কামরেরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব।

কৃষকদের সাথে মত বিনিময় সভায় ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস জানায়, দেশে আউশের ফলন বৃদ্ধি লক্ষ্যে আমাদের এ ‘ব্রি ধান-৯৮’ জাতের ধান উদ্ভাবন করা হয়েছে। এ ধান রোপনের ১২০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায় এবং একরে ফলন হয় ৮০ মনেরও বেশি। তাই কৃষকদের মাঝে এই ধান চাষে আগ্রহ বাড়াতে কৃষকদের সাথে মতবিনয়ের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন করা হয়েছে। এই এলাকায় ২০০ কৃষকের মাঝে প্রায় ২০০ একর জমি আউশের আওতায় আনার টার্গেট করা হয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। 

এদিকে এ ধানের বীজ পেয়ে স্থানীয় কৃষকরা জানায়, কৃষি বিভাগের লোকজন আমাদেরকে এ ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করেছে এবং এই ধান চাষে নানা সুফল ও লাভের কথা বলা হয়েছে। আমরাও আগ্রহ হয়ে ধানের বীজ নিলাম। এ সপ্তাহের মধ্যে এ ধানের বীজতলা তৈরি করা হবে। ফলন ভালো পেলে আমরা পরবর্তী বছরগুলোতেও এ জাতের আমন ধান চাষে আগ্রহী হবো। ভুট্টা চাষীরা এ ধান রোপণে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে বলে জানায় কৃষকরা। কারণ বর্তমানে ভুট্টা ফলন উঠে গেছে এবং জমিও খালি পড়ে আছে। আবার যেসব জমিতে বোরো ধান রয়েছে তা উঠতে আরো এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে। তাই যারা ভুট্টার আবাদ করেছে তারা এই মুহূর্তে এই আমন ধানের চারা রোপন করতে পারবে।