দেশজুড়ে

মার্চেই রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার : ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ৬ মার্চ ২০২৪ , ৩:৫৯ পিএম অনলাইন সংস্করণ

মার্চেই রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার : ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার


স্টাফ রিপোর্টারঃ
ফেনী নদীর ওপর নির্মিত ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু ও বন্দর অবকাঠামো নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন ভারতের হাই কমিশনার বিনয় জর্জ।


চলতি বছরের মার্চ থেকে খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু হবে বলে ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনার বিনয় জর্জ জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার রামগড় স্থলবন্দরের চলমান অবকাঠামো নির্মাণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে বিনয় বলেন, “ভারতের ত্রিপুরার সাব্রুমে আইসিপি বা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট প্রস্তুতি শেষের দিকে; এটি শীঘ্রই উদ্বোধন হবে। তখন দুই দেশের যাত্রীরা মৈত্রী সেতু হয়ে পারাপারের সুযোগ পাবেন।”

ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার
এর আগে বেলা ১১টায় ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনার রামগড় পৌঁছান। সেখানে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (ট্রাফিক) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ও রামগড় স্থলবন্দরের প্রকল্প পরিচালক সরওয়ার আলম, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মনিরুজ্জামান, রামগড় ৪৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ ইমাম হোসেন, খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তাধর ও রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতা তাকে স্বাগত জানান।

পরে রামগড় আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবনের অফিস কক্ষে মতবিনিময় সভা করেন বিনয়। সভা শেষে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু ও বন্দর অবকাঠামো নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি শেলনী সাই ও ফটিক ডি নাগ উপস্থিত ছিলেন।

ভারতের সেভেন সিস্টার্স খ্যাত দেশটির উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে রামগড় ও ত্রিপুরার সাব্রুম স্থলবন্দর চালুর উদ্যোগ নেয় দুই দেশ।

ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে এ স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়ার কাজ চলবে। স্থলবন্দর চালুর লক্ষে রামগড়ে মহামুনি এলাকায় ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৪ দশমিক ৮০ মিটার প্রস্থের বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ নামে একটি সেতু নির্মাণ করেছে ভারত।

রামগড় স্থলবন্দরের প্রকল্প পরিচালক সরওয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশের দিক থেকে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শতভাগ প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী গত বছরের ১৪ নভেম্বর রামগড় আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালটি উদ্বোধন করেছেন।

“ভারতের দিক থেকে আগামী ৯ মার্চ ভারতের ত্রিপুরার সাব্রুমে আইসিপি বা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টের উদ্বোধনের কথা জানিয়েছেন ভারতীয় হাই কমিশনার। এরপর মৈত্রী সেতু হয়ে যাত্রীরা যাতায়াতের সুযোগ পাবেন।”