শেরপুর

একযুগ ধরে ঝালমুড়ি বিক্রি করে স্বাবলম্বী সংগ্রাম

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ২৪ নভেম্বর ২০২৩ , ৮:৩৫ পিএম অনলাইন সংস্করণ

একযুগ ধরে ঝালমুড়ি বিক্রি করে স্বাবলম্বী সংগ্রাম

মেহেদী হাসান শামীম: পৃথিবীতে ঝাল মুড়ি খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ কমেই আছে। ছোট বড় সব বয়সী মানুষের পছন্দ ঝালমুড়ি। আর যদি সুস্বাদু ঝাল মুড়ি হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। বলছি শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের মধ্যবয়ড়া কানাশাখোলা বাজারের ঝালমুড়ি বিক্রেতা সংগ্রাম আলীর কথা। তার দোকানে প্রতিদিন বিকেল ৫ টা হতে রাত ১০ টা পর্যন্ত ঝাল মুড়ি বিক্রি হয় ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা। একযুগ ধরে ঝাল মুড়ি বিক্রি করে এখন স্বাবলম্বী তিনি।

ফাইভ টেন ঝালমুড়ি এন্ড আচার দোকানে কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, সরিষার তেল বুট, পিয়াজু, আলুর চপ দিয়ে অত্যন্ত মুখরোচকভাবে মুড়ি মাখিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করছেন তিনি। ঝালমুড়ি সাথে নিজ হাতে তৈরি করা বড়ই আচার বিক্রি করেন। এই সুস্বাদু ঝালমুড়ি বড়ই আচার খেতে শুধু শেরপুর নয় বিভিন্ন এলাকা থেকেও তার দোকানে আসেন লোকজন। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তার দোকানে ঝাল মুড়ি বিক্রি হয়। ঝাল মুড়ি বিক্রি করেই তিনি এখন স্বাবলম্বী। ২০ থেকে ১০০ টাকা প্রতি প্লেট ঝালমুড়ি বিক্রি হয় তার দোকানে।

সরেজমিনে সংগ্রাম আলীর দোকানে গিয়ে দেখা যায়, তার দোকানে ঝাল মুড়ি খেতে ভীর করছে ক্রেতারা। অনেকে তার মাখা মুড়ি খেতে ব্যস্ত। ঝাল মুড়ি বিক্রি করে পরিবারের যাবতীয় খরচ এখান থেকে বহন করছেন তিনি।

ঝাল মুড়ি খেতে আসা তারা মিয়া বলেন, সংগ্রাম আলীর হাতের মাখা মুড়ির কোন তুলনাই করা যায়না । যে একবার খাবে তাকে পুনরায় আসতে হবে তার দোকানে ঝাল মুড়ি খেতে। তার হাতের ঝালমুড়ি না খেলে যেন মানুষের দিনেই কাটে না। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো দোকান খোলা থেকেই যেন সিরিয়াল দেয়া শুরু হয় আর ঝাল মুড়ি শেষ না হওয়া পর্যন্ত সিরিয়াল থাকে।

ঝালমুড়ি বিক্রেতা সংগ্রাম আলী বলেন, একযুগ ধরে ঝালমুড়ি বিক্রি করে আসছি। ব্যবসায় প্রতিদিন ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা বিক্রি হয়ে থাকে। এতে ভালো টাকা প্রতিদিন আয় হয়। এই উপার্জিত অর্থ দিয়ে ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার খরচসহ সংসার চলছে।

সংগ্রাম আলীর ছেলে স্বাধীন মিয়া বলেন, আমাদের দোকানে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে ঝালমুড়ি খেতে দোকানে এসে ভীর করে। তিনজন কর্মচারী রাখা হয়েছে। এরপরও আমরা দুই ভাই প্রতিদিন দোকানে এসে সহযোগিতা করি।