বাংলাদেশ

সাউথ আফ্রিকার মাঠে প্রথমবার সিরিজ জয়ের রেকর্ড করলো বাংলাদেশ।

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ২৩ মার্চ ২০২২ , ১১:৫৯ পিএম অনলাইন সংস্করণ

সাউথ আফ্রিকার মাঠে প্রথমবার সিরিজ জয়ের রেকর্ড করলো বাংলাদেশ।



সাউথ আফ্রিকার মাঠে প্রথমবার সিরিজ জয়ের রেকর্ড করলো বাংলাদেশ।
সেঞ্চুরিয়ানে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে ঐতিহাসিক জয় পেল বাংলাদেশ। ফলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল টাইগারবাহিনী। সাউথ আফ্রিকার মাঠে প্রথমবার সিরিজ জয়ের রেকর্ড করলো বাংলাদেশ।
সিরিজ নির্ধারণী ৩য় ম্যাচে প্রোটিয়াদের হারাল ৯ উইকেটে। ১৫৫ রানের সহজ টার্গেট টপকে জেতে টাইগারদের খরচ হয়েছে মাত্র এক উইকেট।
সাউথ আফ্রিকার দেয়া ১৫৫ রানের টার্গেটে ওপেনিংয়ে ১২৭ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ গড়ে তামিম-লিটন।
শুরুতে মহারাজের ক্যাচ মিসে জীবন পেয়েছেন লিটন দাস। তামিমকে সঙ্গে নিয়ে দলকে ধীরে ধীরে এগিয়ে নেন লিটন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে সতর্ক শুরু ছিলো সাউথ আফ্রিকার। তবে কুইন্টন ডি কককে ফিরিয়ে ম্যাচের গতি পাল্টে দেন মিরাজ।
এরপর তাসকিন তাণ্ডবে দিশেহারা প্রোটিয়া ব্যাটাররা। পাঁচ উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দেন স্বাগতিক ব্যাটিং অর্ডার। সাকিব-শরিফুলও যোগ দেন উইকেট শিকারে।
৩৭ ওভার টিকে মাত্র ১৫৪ রানে অলআউট হয় বাভুমার দল। টাইগারদের বিপক্ষে তাদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ এটি। ৩৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে আলো কাড়েন তাসকিন। জোড়া শিকার সাকিবের।
তিন ফরম্যাটে এটি লাল সবুজের প্রতিনিধিদের ২০০তম জয়। এ ম্যাচে জেতার ফলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে তামিম ইকবাল বাহিনী। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এটিই বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়।
স্বাগতিকদের করা ১৫৪ রানের জবাবে খেলতে নেমে সাবধানী শুরু পায় বাংলাদেশ। ওপেনিং জুটিতে তামিম ইকবাল ও লিটন দাস করেন ১২৭ রান।
লিটন দাস ৫৭ বলে ৪৮ রান করে আউট হলেও দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন তামিম ও সাকিব আল হাসান। তামিম ৮২ বলে ৮৭ এবং সাকিব ১৮ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে নোঙর করেন।
সেঞ্চুরিয়নের সুপার স্পোর্টস পার্ক স্টেডিয়ামে টস হেরে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরুর ইঙ্গিতটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। জানেমাল মালান ও ডি কক মিলে ৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন।
কককে মাহমুদউল্লার ক্যাচে পরিণত করেন টাইগার অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট তুলে নিয়েছে তামিম বাহিনী।
৬৬ রানে তাসকিন আহমেদ প্রথম আঘাত হানেন প্রোটিয়া শিবিরে। তার শিকার হয়ে ৯ রানে ফিরে যান কাইল ভেরাইনে। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকা মালানকেও প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি।
মালান ৫৬ বলে ৭ চারে করেন ৩৯ রান। এরপর সে অর্থে আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি বাংলাদেশের বোলারদের সামনে। তাসকিন উদযাপনের উপলক্ষ্য পেয়েছেন আরও তিনবার। তাতে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট শিকারের মাইলফলক ছুঁলেন তিনি।
একদিন পরই সাকিব আল হাসানের জন্মদিন। বিশেষ এ দিনের আগে উইকেট নিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারও। তিনি দলীয় ৭১ রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন প্রোটিয়া দলপতি টেম্বা বাভুমাকে।
ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ব্যাটিং গড় রসি ভ্যান ডার ডুসেনের। প্রায় প্রত্যেকটি ম্যাচেই প্রতিপক্ষের বোলারদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে থাকেন তিনি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে এই সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচেই টাইগার বোলারদের ভুগিয়েছেন তিনি। তবে এ দিন খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি এ ব্যাটার। ব্যক্তিগত ৪ রানে শরিফুল ইসলামের বলে মিরাজকে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
তাসকিনের পাঁচ উইকেটের তালিকায় কাইলে ভেরাইনে, মালান বাদেও আছেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস, ডেভিড মিলার ও কাগিসো রাবাদা। প্রিটোরিয়াস ২০, মিলার ১৬ ও রাবাদা ৪ রান করেন।
এ নিয়ে ৪৮ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তাসকিনের শিকার ৬৭ উইকেট। লুঙ্গি এনগিদির উইকেট নেন সাকিব। ১৩ বলে নামের পাশে এক রানও যোগ করতে পারেননি এনগিদি।