শেরপুর

প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন শেরপুরের রফিকুল

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ২৮ জানুয়ারী ২০২৩ , ২:৩৪ পিএম অনলাইন সংস্করণ

প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন শেরপুরের রফিকুল



প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন শেরপুরের রফিকুল
হাফিজুর রহমান লাভলু,শেরপুর :
প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন রফিকুল ইসলাম । রফিকুল হাঁপানি রোগী, তাই সে কোন কাজ করতে পারেনা। সংসার চালাতে গিয়ে প্রতিবন্ধী মেয়ে রেজিয়াকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে ভিক্ষা করেন। যে বয়সে বাবা হিসেবে মেয়েকে স্কুলে পাঠাবে লেখাপড়া করার জন্য, সেই বয়সে মেয়েকে নিয়ে দ্বারেদ্বারে ভিক্ষা করেন রফিকুল।শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবন্ধা ইউনিয়নের ঘাগরা দক্ষিণপাড়া ঘাগড়া লস্কর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম। তার দুই মেয়ের মধ্যে রেজিয়া বড়।জানা যায়, রেজিয়া জন্মের পর থেকেই শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। তার পরিবার গত ১০ বছর থেকে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের কাছে গেলেও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেয়নি। এমনকি একটি হুইলচেয়ার কেনার জন্য সাহায্য চেয়েও পাননি। পরে পাশের বাসার বৃদ্ধ মারা যাওয়ার পর তার ব্যবহৃত হুইলচেয়ারটি দান করেন। এরপর স্থানীয়দের পরামর্শে রেজিয়ার বাবা সমাজসেবা অফিসে গত দেড় মাস আগে লিখিত আবেদন করেন। সেখান থেকেও এখন পর্যন্ত তেমন কোনো সাহায্য পাননি।রেজিয়ার বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, গরিব মানুষকে কেউ চোখে দেখে না। শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমি কাজ করতে পারি না। পেটের দায়ে মেয়েকে নিয়ে ভিক্ষা করতে নামছি। মেম্বার-চেয়ারম্যানের কাছে অনেক গেছি কিন্তু তারা ভাতার কার্ডটাও করে দেইনি।রাশেদ নামে স্থানীয় এক যুবক বলেন, অতিদরিদ্র রফিকুল ইসলামের থাকার কোনো ঘর ছিল না। গ্রামের কয়েকজন মিলে তার ঘর তৈরি করতে সাহায্য করেছেন। তারা ভিক্ষাবৃত্তি করে দিন চালাচ্ছে। মেম্বার-চেয়ারম্যানের পেছনে ১০ বছর ঘুরেছে কিন্তু কোনো প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেয়নি।