শেরপুর

শেরপুরে মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি-আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ১ মে ২০২৩ , ৯:১৫ পিএম অনলাইন সংস্করণ

শেরপুরে মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি-আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



শেরপুরে মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি-আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
শেরপুর প্রতিনিধ:
‘মালিক শ্রমিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শেরপুরে মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ১ মে সোমবার সকাল থেকে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন শহরে খন্ড-খন্ড র‌্যালি বের করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে সমবেত হয়।
এরপর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে এক বিশাল র‌্যালির উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি।
 র‌্যালিতে জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার, পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক তোফায়েল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা বাস-কোচ মালিক সমিতির সভাপতি মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুকতাদিরুল আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাইদুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস, পৌর প্যানেল মেয়র মো. নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা, জেলা ট্রাক চালক-শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. আরিফ রেজাসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শেরপুর জেলা বেসিক ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিক ফেডারেশন, জেলা রাজমিস্ত্রি শ্রমিক ইউনিয়ন, জেলা দর্জি শ্রমিক ইউনিয়ন, জেলা মাইক প্রচারক শ্রমিক ইউনিয়ন জেলা হোটেল রেস্তোঁরা ও সুইটমিট শ্রমিক ইউনিয়ন, জেলা রং ও বার্ণিশ শ্রমিক ইউনিয়ন, সদর উপজেলা রিক্সা অটোরিক্সা ও ভ্যান চালক শ্রমিক ইউনিয়ন, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ শেরপুর জেলা শাখা, জেলা কাঠ শিল্প শ্রমিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক এমপি। ওইসময় তিনি বলেন, আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন শিল্প ও শ্রমবান্ধব বর্তমান সরকার শ্রমিকদের সার্বিক কল্যাণসাধন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উন্নত কর্মপরিবেশ, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক, শ্রমিকের পেশাগত নিরাপত্তা ও সুস্থতাসহ সার্বিক অধিকার নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন খাতে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে। এই তহবিল থেকে যে কোন শ্রমিক কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনাজনিত কারণে স্থায়ীভাবে অক্ষম হলে অথবা মৃত্যুবরণ করলে, জরুরি চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ ও দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসার জন্য এবং শ্রমিকদের সন্তানের উচ্চ শিক্ষার জন্যেও আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন। সব সেক্টরে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে। ওইসময় তিনি শ্রমিকদের কলেজপড়ুয়া ৫০ সন্তানের জন্য ৫ হাজার টাকা হারে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা অনুদান ঘোষণা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার বলেন, সরকার দেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবন-মান উন্নয়ন ও কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে নিরাপদ কর্মপরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা ও শ্রমিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রম আইন যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করে ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন-২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। ওইসময় জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা, পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।