শেরপুর

ব্রহ্মপুত্র নদে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজের ২৪ঘন্টা পর শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ৫ অগাস্ট ২০২৩ , ৭:৫৩ পিএম অনলাইন সংস্করণ

ব্রহ্মপুত্র নদে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজের ২৪ঘন্টা পর শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার



ব্রহ্মপুত্র নদে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজের ২৪ঘন্টা পর শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার
শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুরের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজের ২৪ঘন্টা পর শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।শনিবার(৫আগষ্ট) বিকেল ৩টারদিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিক্ষিকার নাম মাহেরা আহমেদ বিথী(২৭)।তিনি জামালপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের দেওয়ান পাড়ার মৃত শফিউদ্দীন আহমেদ শাহিনের মেয়ে ও নান্দিনার জাহিদ আনোয়ার লিটন এর স্ত্রী। জামালপুর শহরের একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন।
জানাগেছে,শুক্রবার(৪ আগসষ্ট) দুপুরে শেরপুর ব্রক্ষপুত্র সেতুর কাছাকাছি জায়গায় বিথি নদীতে লাফ দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা বেলা দুইটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়েও বিথীর খোঁজ পাননি।
পরে শনিবার দুপুরে আবার তারা ওই স্থানে উদ্ধার কাজ শুরু করলে সেখানেই পানির নীচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা।
মরদেহ উদ্ধারের পর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্কুল শিক্ষিকা বিথীর ছোট ভাই রোহান আহমেদ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আপু দোকানে যাবে বলে নামাজের পর বাসা হতে বের হয়। পরে আমরা ফোনে খবর পাই, নদের পানিতে আপু ঝাঁপ দিয়েছে। নদের পাড়ে আপুর হাতব্যাগ, জুতা ও মোবাইল ফোন রেখে ঝাঁপ দেন বলে আমাদের এখানকার লোকজন বলেছে।
বিথীর প্রতিবেশীরা বলছেন পারিবারিক কলহ ও প্রেমঘটিত কারণে এমনি হতে পারে।
ফায়ার সার্ভিস জামালপুরের স্পেশাল অফিসার রবিউল ইসলাম জানান, দুই দিনের চেষ্টার পর মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
এবিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোন সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় থানায় কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি।