দেশজুড়ে

বিশ্বনাথে স্ট্রিট লাইটে আলো নেই ; দেখার ও কেউ নেই: লাখ লাখ টাকার অপচয়

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ৯ জুন ২০২৪ , ১০:৩৭ পিএম অনলাইন সংস্করণ

বিশ্বনাথে স্ট্রিট লাইটে আলো নেই ; দেখার ও কেউ নেই: লাখ লাখ টাকার অপচয়।

বিশ্বনাথ(সিলেট)প্রতিনিধি :

বিশ্বনাথ উপজেলা ও পৌর শহরে স্থাপিত সোলার প্যানেল লাইটে ( স্ট্রিট লাইট) আলো জ্বলে না। না জ্বলার কারণও জানে না সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো। পৌরশহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থানে সরঞ্জাম সহ স্থাপিত লাইট গুলো বিকল অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। আলো না থাকায় সেবা বঞ্চিত উপকার ভোগীরা। স্থাপিত সোলার প্যানেলের পেছনে বড় অংকের প্রকল্প খরচের পরিমান এখন অপচয় ছাড়া কিছু নয় এমনটি বলছেন অনেকেই। উপজেলার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা গেছে স্থানীয়দের। তাদের ভাষ্যমতে এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করার বা দেখভালের যদি কেউ না থাকে তাহলে সরকারি টাকা খরচ করে এরকম প্রকল্প বাস্তবায়ন না করাই ভালো। স্ট্রিট লাইট স্থাপনের উপকারিতা অবশ্যই রয়েছে। অন্ধকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এধরনের লাইট স্থাপনের ফলে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার প্রবনতা হ্রাস পায়। পথচারীদের চলাচলের সুবিধা হয়।

পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সেতু বাসিয়ার উপর তিনটি স্ট্রিট লাইট আলো হীন রয়েছে। সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পৌর শহর ও উপজেলার অন্যান্য স্থানের একাধিক লাইটেও জ্বলছে না আলো। এই লাইটগুলো সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরীর আমলের স্থাপিত বলে জানা গেছে। কি কারণে এগুলো জ্বলছে না তা দেখার বা মেরামতের কাউকে খোজে পাওয়া যায় না। তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে গেলে এক অফিস আরেক অফিসের উপর দায় চাপাতে থাকে। বিশ্বনাথ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অফিসে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তারাও তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এক পর্যায়ে তাদের কাছ থেকে আংশিক তথ্য পাওয়া যায়। প্রকল্প ব্যায় নিয়ে সন্দেহ বাড়ছে। সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বক্তব্যে ও অমিল পরিলক্ষিত হয়েছে।

বিশ্বনাথে স্ট্রিট লাইট স্থাপনের কাজ প্রথমে শুরু করেন সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী এবং পরে সংসদ সদস্য মোকাব্বির খাঁন। মোকাব্বির খাঁনও পৌর শহর এবং উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এধরনের সোলার প্যানেল ( স্ট্রিট লাইট) স্থাপন করেন।

সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরীর সাথে আলাপ করলে তিনি জানান; বাসিয়া সেতুর উপর সহ বিভিন্ন স্থানে লাইটগুলো তিনির নির্দেশে স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু এগুলো বাস্তবায়নে প্রকল্প ব্যায়ের অংকটা তিনির জানা নেই। তিনি আরো বলেন; এটি তখনকার ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়, এবং আমি যতটুকু জানি উৎপাদন কোম্পানির সাথে তিন বছরের একটি চুক্তি থাকে। তিন বছরের মধ্যে এগুলো নষ্ট হলে বা সমস্যা হলে তারা নিজ খরচে ঠিক করে দিয়ে থাকে। এগুলো স্থাপনে কত টাকা খরচ হয়েছে তা পিআইও অফিসই ভাল বলতে পারবে।

এব্যাপারে বিশ্বনাথ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রজেশ চন্দ্র দাস প্রথমে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং বারবার পরে যোগাযোগ করতে বলেন। এক পর্যায়ে তিনি আংশিক তথ্য দিয়ে বলেন; প্রকল্প ব্যায়ের হিসেবটা এখন দিতে পারবনা, পরে দেব। এগুলো না জ্বলার কারণ কি এবং দেখভাল করার দায়িত্ব কোন অফিসের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন এগুলো উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে ১(এক) বছর মেয়াদী ওয়ারেন্টি যুক্ত চুক্তিতে স্থাপিত ছিল। এক বছরে মধ্যে কোন সমস্যা হলে তারা এসে মেরামত করে দিয়ে যেত। এরপর কয়েক বছর অতিক্রম হয়েছে লাইটগুলো স্থাপনের বয়স। কোম্পানির সাথে অনেক আগেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বিধায় এখন তারা ঠিক করে দিতে আসে না। এছাড়া লাইটগুলো নতুন করে মেরামতের কোন উদ্যোগ নেই বলেও জানান তিনি।