বাংলাদেশ

শেরপুরে বাস ভাড়ার নৈরাজ্য, দেখার কেউ নেই!

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ১৭ এপ্রিল ২০২৪ , ৭:২৪ পিএম অনলাইন সংস্করণ

শেরপুরে বাস ভাড়ার নৈরাজ্য, দেখার কেউ নেই!

মেহেদী হাসান শামীম শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরে ঈদ শেষ হয়েছে ৭ দিন চলছে তারপরও বাস ভাড়া বৃদ্ধির নৈরাজ্য কমেনি। ঈদের ২ দিন আগে থেকে ঢাকা-শেরপুরগামী সকল দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসে যাত্রীদের কাছ থেকে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা নেওয়া হয়। ঈদ পার হয়েছে ৭ দিন, অথচ ঈদের পরের দিন থেকেই শেরপুর-ঢাকাগামীসহ অন্যান্য সকল সড়কের বাস ভাড়া দ্বিগুণ হারে নেয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ ১৭ এপ্রিল বুধবার শেরপুর থেকে ঢাকাগামী সকল যাত্রীবাহী বাস ৭০০ টাকা করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব বাস ভাড়া বৃদ্ধি নেওয়ার কারণে ভুক্তভোগী অনেকেই বাসের টিকেটসহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। এ সময় তারা বলছেন, দেশে কি আইন নেই, সরকার নেই এবং প্রশাসন নীরব কেন? নানান ভাবে অভিযোগ তুলছেন।

বুধবার “শেরপুর হেল্পলাইন” নামের ফেসবুক পেইজে একটি বাসের টিকেট এর ছবি সহ লিখেন, “এগুলো কি দেখার কেউ নেই ? যেমন খুশি তেমন করে ভাড়া নিচ্ছে। ঈদের ৭ দিন পর সামনের শুক্রবার দুই সিটের ভাড়া ১৬০০ টাকা নিয়েছে এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি”।

এছাড়া “আমাদের শেরপুর” পেইজে বাসের ভিতর দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের ছবিসহ পোস্টে অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে লেখেন। এছাড়াও অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা রকম মন্তব্য চলছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে।

এদিকে দূরপাল্লার বাস ছাড়াও জেলা থেকে বিভিন্ন উপজেলায় চলাচলরত সিএনজি অটো রিক্সায় ভাড়া কোন কোন ক্ষেত্রে দ্বিগুণ নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে শেরপুর-নকলা, শেরপুর-ঝিনাইগাতী, শেরপুর-নালিতাবাডি এবং শেরপুর-জামালপুর মহাসড়কে সিএনজি অটো রিক্সার ৪০ টাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এ ভাড়া নিয়ে অনেক যাত্রীর সাথে শ্রমিকদের বাকবিতন্ডা হচ্ছে বলে জানায় ভুক্তভোগী অনেক যাত্রী। অথচ এসব বিষয়ে শেরপুরের জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন নিরব রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন যাত্রীরা।

এদিকে ভাড়া বৃদ্ধি নেওয়ার কথা স্বীকার করে শেরপুর চেম্বার-টু এর কাউন্টারে টিকিট বিক্রেতা জানায়, আমরা আর ২/১ দিন ভাড়া বেশি নিব এরপর আর নেওয়া হবে না। এছাড়া শেরপুর চেম্বার অব কমার্স, কালেক্টরেট, উইমেন চেম্বার, টেনিস ক্লাবসহ অন্যান্য সকল শেরপুর-ঢাকা কাউন্টারে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে শেরপুর জেলা বাস কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ দে সেন্টু জানায়, আমাদের মালিক সমিতির পক্ষ থেকে কোনো রকম ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়নি এবং ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে না, যদি কেউ নিয়ে থাকে তাহলে তারা ব্যক্তিগত ভাবে নিচ্ছেন। এসব বিষয়ে প্রশাসনের দেখা উচিত বলে তিনিও মনে করেন।

ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম জানায়, ভাড়া বৃদ্ধি রোধে আমরা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি। সেই সাথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারীর মালিকদের কাছ থেকে যাত্রীদের ভাড়া ফেরত দিয়েছি। এছাড়া এ অভিযান এখনো চলছে বলেও জানান তিনি।