শেরপুর

স্বাধীনতার ৫২ বছরেও যে গ্রামে এখনো উন্নয়নের ছোঁয়া পড়েনি

  স্বাধীন বাংলা নিউজ ১২ নভেম্বর ২০২৩ , ৪:৩১ পিএম অনলাইন সংস্করণ

স্বাধীনতার ৫২ বছরেও যে গ্রামে এখনো উন্নয়নের ছোঁয়া পড়েনি

শেরপুর প্রতিনিধি: স্বাধীনতার ৫২ বছরেও উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া পড়েনি ভারতের মেঘালয় সীমান্তবর্তী শেরপুর গারো পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অধ্যুষিত কোচপল্লীর খলচান্দা গ্রামে। এই গ্রামটিতে কোচ জনগোষ্ঠী এবং স্থানীয় গুচ্ছগ্রামের বাঙালি সহ প্রায় চার শতাধিক মানুষ বসবাস করেন। অথচ, গ্রামটিতে নেই কোনো সরকারি সুযোগ সুবিধা। এমনকি, গ্রামের যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির প্রায় তিন কিলোমিটার পাকা না হওয়ায় চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।

ওই গ্রামে বৃষ্টির মৌসুমে হাঁটু পর্যন্ত কাঁদামাটি আর শুষ্ক মৌসুমে ধুলামাটিতে পায়ে হেঁটে সবাইকে যাতায়াত করতে হয় । সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হাট স্থাপনের প্রাথমিক জায়গা হিসেবে এই খলচান্দাকেই বেঁছে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্প্রদায়কে পেছনে ফেলে সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বার বার ভোটের সময় রাস্তা তৈরির আশ্বাস দিলেও পরে কেউ আর খোঁজ রাখেন না। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ইন্টারনেট সহ গুরুত্বপূর্ণ সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত গ্রামের মানুষ। এছাড়া,
এই গ্রামের মানুষের জীবন জীবিকা কৃষি নির্ভর। কিন্তু যাতায়াত রাস্তা ভালো না থাকায় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল ও পণ্য হাট-বাজারে নিতে বিপাকে পড়েন। যানবাহনের অভাবে সবজি কাঁধে এবং মাথায় করে বিক্রি জন্য বাজারে নিতে হয়।

কোচ জনগোষ্ঠীর এক বাসিন্দা জানায়, স্বাধীনতার ৫২ বছর হলেও আমাদের গ্রামের কোনো উন্নয়ন হয়নি। কেউ না ভাবায় আমরা দিন দিন পিছিয়ে যাচ্ছি। আমাদের পেছনে রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনে সময় ভোট চাইতে আসলেও ভোট শেষে তাদের আর কোনো খবর থাকে না। সড়কে যাতায়াত করতে আমাদের চরম কষ্ট এবং বিপাকে পড়তে হয়।

পোঁড়াগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন থেকেই অবহেলিত ওই গ্রামের রাস্তার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগে লেখা-লেখি ও তদবির করে আসছি। কিন্তু তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এতো বড় রাস্তার উন্নয়নের জন্য কাজ করা সম্ভব নয়।

এবিষয়ে নালিতাবাড়ি উপজেলা প্রকৌশলী মো. রকিবুল আলম রাকিব বলেন, ওই সড়কের আইডি নম্বর করা হয়েছে কী না তা আমার জানা নেই। আইডি নম্বর থাকলে সে অনুযায়ী প্রস্তবনা পাঠানো হবে।